×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশের ফাঁকা গুলি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম

মিয়ানমারে তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশের ফাঁকা গুলি

মিয়ানমারে জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

মিয়ানমারে তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশের ফাঁকা গুলি

রাজপথে মিয়ানমার সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার তুলে ধরে বিক্ষোভকারীরা

টানা চতুর্থ দিনের মতো মিয়ানমারে চলছে সেনা শাসন বিরোধী তুমুল বিক্ষোভ। জান্তা সরকার জন সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাত্রিকালীন কারফিউ জারি ও বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দিলেও তা মানছে না দেশটির গণতন্ত্রপন্থি মানুষ ও সু কি ভক্তরা। সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী অহিংস পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বিরোধীরা। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। পুলিশও হয়ে ওঠেছে বেপরোয়া। এ দিন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েকটি শহরে জল কামান ছোঁড়া হয়েছে। এমনকি রাজধানী নেপিদোতে এক বিক্ষোভে ফাঁকা গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সেনাবিরোধী বিক্ষোভ থেকে এক সাংবাদিকসহ ২৭ জনেরও বেশি প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খবর: বিবিসি, গার্ডিয়ান ও রয়টার্স।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন রাজধানী নেপিদোতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজপথে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে জল কামান ছোঁড়ে। পরে বিক্ষোভকারীদের ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা। এ পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালাতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক দফা গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভিড়ের ওপর গুলি চালানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।

গত সোমবার দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। এরপর সে দিন রাতেই জান্তা সরকার রাস্তাঘাটে চার জনের বেশি মানুষের একত্রে সমাবেশ নিষিদ্ধ করে, পাশাপাশি রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রধান প্রধান সড়ক পথ।

[caption id="attachment_264789" align="alignnone" width="742"] রাজপথে মিয়ানমার সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার তুলে ধরে বিক্ষোভকারীরা[/caption]

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তরুণ আন্দোলনকারী মং সাউংখা রাজপথে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিাকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো। বিবৃতিতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে জান্তা সরকারের পতন ঘটানো আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি যে সংবিধান পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর ভেটো ক্ষমতা বিলোপ জাতিগতভাবে বিভক্ত মিয়ানমারে ফেডারেল ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

’৮৮ প্রজন্ম গোষ্ঠী’ বলে পরিচিত একদল প্রবীণ আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের আরও তিন সপ্তাহ ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে মিন কো নাইং এক বিবৃতিতে বলেন, ‌‌প্রতিবাদকারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি পরস্পরকে সহায়তার অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।

১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু কি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এ পরিস্থিতিতে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সু কি সমর্থক ও গণতন্ত্রপন্থিরা । তাদের বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পরে ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App