×

সারাদেশ

ভোর থেকে প্রার্থীরা ছোটেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫০ এএম

ভোর থেকে প্রার্থীরা ছোটেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি

প্রার্থীরা।

জমে উঠেছে রাজবাড়ী পৌরসভার নির্বাচন। প্রার্থী আর কর্মী-সমর্থকদের পদচারণায় সরগরম পাড়া-মহল্লা। নারী কর্মীদেরই বেশি দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণায়। দিন-রাত মাইকের প্রচারণায় অতিষ্ঠ হওয়ার উপক্রম। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেই কাকডাকা ভোর থেকে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রæতি। ভোট নিয়ে ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। সবাই চাইছেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট।

চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মহম্মদ আলী চৌধুরী, বিএনপির ধানের শীষের তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের কে এ রাজ্জাক মেরিন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলমগীর শেখ তিতু প্রার্থী হয়েছেন।

২০১৫ সালের নির্বাচনে মহম্মদ আলী চৌধুরী ১৮ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির অর্ণব নেওয়াজ মাহমুদ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ২৬৬ ভোট। রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান বরাবরই। এর আগে ২০০৪ সালে তিনি একবার জয়লাভ করেছিলেন। ২০১১ সালে বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে একবার হেরে গিয়েছিলেন। সেবার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল বলেই হেরেছেন বলে অনেকে মনে করেন। এবারো একজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এবার ভিন্ন। আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা মহম্মদ আলী চৌধুরীর পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

এ বছর ভোটারদের নজর কেড়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর শেখ তিতু। কাউন্সিলর থেকে পৌরসভায় প্রার্থী হয়েছেন তিনি। করোনায় যখন মানুষ বেকার ছিল সে সময় আলমগীর শেখ তিতু নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ধরে ফলের গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলে পৌর নির্বাচনে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন তিতু।

বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেনও একবার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রার্থী হননি। মনোনয়ন জমা দেয়ার পর যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালতে আপিল করে ফেরত পেয়েছেন। এবার জেতার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। তবে বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং থাকায় সব নেতাকর্মীকে পাশে পাচ্ছেন না। সামনের দিনগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নামতে পারলে তার জন্য লাভ হবে।

রাজবাড়ী পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৫ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২২ হাজার ৮ জন এবং নারী ২৩ হাজার ১২ জন। ইভিএম পদ্ধতিতে রাজবাড়ী পৌরসভার ভোটগ্রহণ হবে। ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App