কাজাখস্তানের আলমাতি এলাকাটি শীতকালে বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। হলে কী হবে, হিম আবহাওয়াও বাধা নয় পর্যটকদের কাছে। হাজার হাজার কৌতুহলী মানুষ এবার সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন। কেন? সেখানে অবাক করার মতো একটি ঘটনা ঘটেছে। গজিয়ে ওঠেছে একটি বরফ আগ্নেয়গিরি’! এর উচ্চতা ৪৫ ফুট!
মাটির নিচ থেকে জেগে ওঠা একটি ছোট ঝর্ণার ওপর পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে এই বিশাল বরফ কাঠামোটি আর সারাক্ষণ এর ফাঁকা মুখ দিয়ে ধোঁয়া উগড়াচ্ছে। আসলে তা ধোঁয়া নয়, পানি, যা হিম বাতাসের স্পর্শে এসে পলকেই কণা কণা বরফে পরিণত হচ্ছে। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ধোঁয়া।
গত বছরও এই এলাকায় একটি ক্ষুদে বরফ আগ্নেয়গিরি তৈরি হয়েছিল। তবে এর মুখ দিয়ে অবিরাম জল উপরে উঠতো না। তাই হিম ধোঁয়ার উদগীরণও সারাক্ষণ হতো না। এবারের বরফ আগ্নেয়গিরি যেমন আকারে বিশাল, তেমনি এর মুখ দিয়ে সারাক্ষণই জলের ধোঁয়া উগড়ে দিচ্ছে। আারও মজার বিষয়, এই ঝর্ণা-জল বরফ-পাহাড়ের গা বেয়ে ছড়িয়ে পড়ায় এর গায়ে চমৎকার সব আলপনা তৈরি হয়েছে। এর পাদদেশে সৃষ্টি হয়েছে কারুকাজময় অনেক বৃত্ত। এসব বিষয় এর আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আলমাতির কেগান ও শ্রানাক গ্রামের মাঝের একটি বিরান মাঠে তৈরি হয়েছে এই বরফ আগ্নেয়গিরিটি। কাজাখস্তানের রাজধানী নূর-সুলতান থেকে (আগের নাম আস্তানা) চার ঘন্টার মতো লাগে। কিন্তু ঠাণ্ড আবহাওয়া ও দূরত্বও হার মানছে এই বরফ আগ্নেয়গিরি সৌন্দর্যের কাছে। ছুটি কাটাতে, নিজের চোখে এক পলক দেখতে সেখানে পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন অনেকে। সেখানে গিয়ে তারা হাসিখুশি মুখে ঘুরে বেড়ানোর উচ্ছ্বাসমুখর ভিডিও শেয়ার করছেন অনলাইনে। যারা সেখানে যেতে পারছেন না, তারাও তাই দেখে নিতে পারছেন এক পলক এই বরফ আগ্নেঢগিরি। আর ভাবছেন, কী সুন্দর এই প্রাকৃতি ভাস্কর্য, একবার না গেলেই নয়!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।