সারা দেশে বেদখলী বনভূমি রয়েছে মোট ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ দশমিক ৮৪ একর এবং এ পরিমান ভূমি ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬ জন জবর দখল করে রয়েছে বলে জানিয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কমিটি সূত্রে জানা গেছে এর মধ্যে বন বিভাগের বেদখলকৃত জমির পরিমান ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬১৩ দশমিক শূন্য ৬ একর ও এবং অন্যান্য জবরদখলকৃত বনভূমির পরিমান ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৪৫ দশমিক ৭৮ একর, যা ৭২ হাজার ৩৫১ জন জোর করে দখলে রেখেছে। যাদের উচ্ছেদের জন্য কমিটি জোর সুপারিশ করেছে। রবিবার কমিটি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য পরিবেশন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, জাফর আলম, মোঃ রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে কমিটি অবৈধ দখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে একটি প্ল্যান অব একশন গ্রহণ করতে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান/কলকারখানা স্থাপনে যে বনভূমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে সুপারিশ করেছে। কমিটি বন অধিদপ্তরের অধীন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা নিয়মিত তদারকি করতে সুপারিশ করে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে- পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৬টি অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ধার্যকরা হয়েছে এবং এ থেকে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা আদায় ও ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়াসহ ৫৪২টি ইটভাটা উচ্ছেদ/আংশিক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বৈঠকে আরো উল্লেখ করা হয় যে, সুন্দরবনে বর্তমানে “সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” প্রকল্প চলমান রয়েছে। উক্ত প্রকল্পটি ২ হাজার ৪৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জানুয়ারী ২০২০ হতে ডিসেম্বর ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণ ও মান উন্নয়নের মাধ্যমে সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রকল্পটি সুন্দরবন পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।