×

সারাদেশ

বরিশালে করোনার ভ্যাকসিন প্রদানে প্রস্তুত ১৩১টি কেন্দ্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৪৫ এএম

বরিশালে করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ১৩১টি কেন্দ্রে আজ রবিবার শুরু হবে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম। একযোগে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। যেসব মানুষ অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম নন তারা নিকটস্থ কেন্দ্রে হাজির হলে সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে ৮টি, সদর হাসপাতালে ৮টি এবং পুলিশ হাসপাতালে একটি বুথ রয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় রয়েছে ১১৪টি ভ্যাকসিন প্রদান বুথ। এর মধ্যে ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি করে মোট ২৭টি এবং ৮৭টি ইউনিয়নে একটি করে ৮৭টি বুথ করা হয়েছে।

বরিশাল জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০ হাজার ৭৯০, সদর উপজেলায় ৩৩ হাজার ৩৭০, আগৈলঝাড়ায় ৯ হাজার ৪৭০, বাবুগঞ্জে ৮ হাজার ৮৯০, বাকেরগঞ্জে ১৯ হাজার ৮৮০, উজিরপুরে ১৪ হাজার ৮৮০, বানারীপাড়ায় ৯ হাজার ৩৯০, মুলাদীতে ১১ হাজার ৭০, মেহেন্দিগঞ্জে ১৯ হাজার ৭০, গৌরনদীতে ১১ হাজার ৯৪০ এবং হিজলা উপজেলার জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৯ হাজার ২৫০ ডোজ ভ্যাকসিন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ জানান, গ্রামের সাধারণ মানুষ যারা করোনার ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম নন তাদের রেজিস্ট্রেশন করার বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। আবার কেউ চাইলে কেন্দ্রে এসেও ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২ দফায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ভ্যাকসিন এসেছে। ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করতে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। ১৩৮টি ভ্যাকসিন বুথের জন্য ২৭৬ স্বাস্থ্যকর্মী, ৫৫২ জন স্বেচ্ছাকর্মীসহ মোট ৮২৮ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।

বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ জানান, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। বিসিসি এলাকায় ১৭টি বুথ হবে। এখানে মোট ৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগে অন্তত ৫০টি আইএলআর (ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য হিমায়িত বাক্স) করোনো ভ্যাকসিনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব আইএলআর প্রত্যেকটিতে ৭ হাজার ১০০ ভায়াল রাখতে পারে। সে হিসাবে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ভ্যাকসিন এভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া, বরিশাল ও ভোলায় ২টি ডব্লিউআইসিতে (ওয়াক ইন কুল-ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ঠাণ্ডা ঘর) এ ধারণক্ষমতা ২ লাখ ৪০ হাজার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App