ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন চালু করতে কর্মকর্তারা যাচ্ছেন ভারতে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
শাহীদুল ইসলাম শনিবার বলেন, মূলত আমরা আমাদের বেশকিছু চাহিদা নিয়ে আগামী ২২ ফেব্রয়ারী ভারত সফরে যাচ্ছি। এখানে আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাতে ঢাকা থেকে সরাসারি শিলিগুড়ি যাত্রীবাহি ট্রেন চালানোর অনুমতি দেন সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাতা মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো এবং তাদেরকে অনুরোধ জানাব। এছাড়া বেনাপোল, দর্শনা, রহনপুর, চিল্লাহাটি এবং বিরল-রাধিকাপুর দিয়ে যে ৫টি মালবাহি ইন্টারচেঞ্চ পয়েন্ট রয়েছে সেখানে যাতে কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো। এছাড়াও পাকশি ডিভিশনের আরো বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা ডিআারএম লেভেলে কথা বার্তা বলবো বলে জানান তিনি। শাহীদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর অপারেশন কার্যক্রম নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে। এছাড়া ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।
তবে এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন লেভেলের রেল কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই বার বৈঠকে বসেন। চলতি মাসে এ ধরনের একটি বৈঠকে কাটিহার ডিভিশনের ঢিআরএমেন নেতৃত্বে শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। চলতি মাসের ২২-২৪ তারিখ এ বৈঠক হবে। এখানে আমাদের পক্ষ থেকে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা প্রস্তাব দেব। রেলমন্ত্রী বলেন, মহামারীর কারণে এখনও সব কিছু স্বাভাবিক হয়নি। মৈত্রী ও বন্ধন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে, বিষয়টি যাত্রী সম্পর্কিত। সব বিষয়ে কথা বার্তা হবে।
এদিকে অর্ধ শতাব্দীর বেশি বন্ধ থাকার পর গত ১৭ ডিসেম্বর আবারও চালু হয় বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল। এ রেলপথ উদ্বোধনের দিন চিলাহাটিতে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, এ পথ দিয়ে আপাতত দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। দুই দেশের সম্মতিক্রমে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমল থেকেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দার্জিলিং থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত এ রেলপথে নিয়মিত একাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত। ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে গত ১৭ ডিসেম্বর মালবাহি ট্রেন চালুর মাধ্যমে লাইনটি সচল হলো।