ছাত্র-শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন জোরদার হচ্ছে মিয়ানমারে। গত সোমবার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পরদিনই প্রথম প্রতিবাদ এসেছিল চিকিৎসাকর্মীদের কাছ থেকে। এরপর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ক্রমেই বেড়েছে। একে একে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন যুবদল, সরকারি ও বেসরকারি খাতের বহু কর্মী। শুক্রবার (৫ ফ্রেব্রুয়ারি) সর্বশেষ আন্দোলনে শামিল হয়েছে শিক্ষকরাও। কয়েকজন প্রভাষক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা কিংবা সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্সে র লাল রিবন পরে, প্রতিবাদের প্রতীক হাতে নিয়ে শিক্ষক, প্রভাষকরা ইয়াঙ্গন ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশন ক্যাম্পাস ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা প্রদর্শন করেন তিন আঙুলের স্যালুট। তাদের একজন বলেন, নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখলের এই সামরিক অভ্যুত্থান আমরা চাই না। আমরা আর তাদের সঙ্গে কাজ করব না। এ দিন বিকালে ইয়াঙ্গনের ড্যাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে শত শত শিক্ষক-শিক্ষার্থী। লাল রিবন পরে তিন আঙুল স্যালুট প্রদর্শন ছাড়াও কারান্তরীণ নেত্রী সু চির সমর্থনে ‘সু চি মা জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয় তারা। মিয়ানমারজুড়ে বহু জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে। ইয়াঙ্গনসহ কয়েকটি নগরীর অধিবাসীরা তাদের বাড়িতে থেকে রাতেও বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গনে প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘অমঙ্গল দূর হবে’ শ্লোগান দিয়ে রীতি অনুযায়ী হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন। স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, শিক্ষক এবং সরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে হয় ছোটখাট বিক্ষোভ আয়োজন করছেন, নয়ত ধর্মঘটে নামছেন। আবার অনেকে প্রতিবাদের প্রতীকী লাল রিবন পরে কাজ করে যাচ্ছেন। শুক্রবার কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দাওয়েই শহরে পদযাত্রা করেছে। মোটরবাইকে করে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও বহু মানুষ।