×

সারাদেশ

ধুনটে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ধস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:১৮ এএম

ধুনটে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ধস
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী গ্রামে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ১০০ ফুট এলাকা নদীগর্ভে ধসে গেছে। যমুনা নদীর পানির স্রোতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলায় প্রতি বছর যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি বা কমার সময় নদীর তীরে ভাঙন দেখা দেয়। এ ভাঙনের ফলে বসতভিটা, কৃষকের ফসলের খেত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর হাত থেকে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। ২০১১ সালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলী গ্রাম থেকে ভ‚তবাড়ী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার নদীর তীর এলাকায় ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হয়। এতে কয়েক বছর নদীতে ভাঙন দেখা দেয়নি। গতকাল সকাল ৮টা থেকে ভান্ডারবাড়ী গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে হঠাৎ ধস দেখা দেয়। মাত্র ২ ঘণ্টায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রায় ১০০ ফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, নদীর ভাঙনরোধে তীর স্লিপিং করে তার উপর জিও চট বিছানো হয়। সেই চটের উপর পাথর ও সিমেন্টের তৈরি সিসি ব্লক দিয়ে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজ করা হয়। বর্তমানে যমুনার পানি কমে যাওয়ায় নদীর বিভিন্ন স্থানে বালুচর জেগে উঠেছে। এ কারণে পানির স্রোত এসে ধসে যাওয়া স্থানে আঘাত করছিল। সেখানে পানি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তীর সংরক্ষণ এলাকার প্রায় ১০০ ফুট ধসে যায়, যা প্রস্থে প্রায় ৫০ ফুট। এছাড়া আরো ৫০০ ফুট এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় তীরবর্তী এলাকায় নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর জন্য বাল্কহেড এবং পরিবহনের জন্য অসংখ্য নৌকা নদী তীর দিয়ে যাওয়া-আসা করে। এতে নদীর পানিতে বড় আকারের ঢেউ তৈরি হয়, যা নদী তীরে আঘাত হানছে। এ কারণেই ভান্ডারবাড়ীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বড় একটি অংশ ধসে গেছে। আরো ধসের আশঙ্কা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ভান্ডারবাড়ীতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধসে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে পানি স্থির হওয়ায় ধসের আর কোনো ঘটনা নেই। তবুও ধসে যাওয়া স্থান নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ধস ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App