রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় একটি বাসায় কামরুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সে বাংলাদেশ সাধারণ আনসারদের তায়কোয়ানডো জাতীয় দলের ভাতাপ্রাপ্ত খেলোয়ার। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের পাশে তায়কোয়ানডো শাখা স্কুলের শিক্ষকও সে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার দক্ষিণ শিকল বাহার গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে সে। অবিবাহিত কামরুল থাকতো রাজধানীর ফকিরাপুল গরম পানির গলিতে।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিভা সরকার জানান, প্রতিভা বসিলার ১ নম্বর রোডের ১২৪/৮০ নম্বর বাসার ৫ম তলায় ভাড়া থাকেন। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের পাশে তায়কোয়ানডো শাখা স্কুলের ম্যানেজার সে। কামরুলও ওই তায়কোয়ানডো স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক। প্রতিভার সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক।
গতরাতে সে প্রতিভাকে ফোন দিয়ে বলে, তার বাসায় গরুর মাংশ দিয়ে রাতে খাবার খাবে সে। এরপর কামরুল তার বাসায় গিয়ে প্রতিভাকে সাথে নিয়ে বাজার থেকে গরুর মাংশ কিনে আনে। এরপর রাতে খাবার খেয়ে একই বাসায় প্রতিভার পাশের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। আজ সকালে তার গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার কথা ছিলো। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে প্রতিভা পাশের রুমে গিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় কামরুলকে। পরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি প্রতিভা।
এদিকে তায়াকোয়ানডো ফেডারেশনের জাতীয় দলের সহকারী কোচ মো. পলাশ মিয়া জানান, সে গত পরশু দু দিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলো বাড়িতে যাওয়ার জন্য। এর পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ নাই কামরুলের। এই দু দিন কোথায় ছিলো তা বলতে পারছি না। আজ সকালেই তার মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। যে বাসায় ঘটনা সেটি হাজারীবাগ থানাধীন বলে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।