দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিলো সৌদি আরব। ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগে ৩০৭ দিনের বন্দিদশার পর বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে মুক্তি পান তারা। দুই জনই যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দ্বৈত নাগরিক। মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন সালাহ আল হায়দার। তিনি শীর্ষস্থানীয় একজন নারী অধিকারকর্মীর পুত্র। অন্যজন লেখক-চিকিৎসক বদর আল ইব্রাহিম। এক বিবৃতিতে বিলম্ব সত্ত্বেও তাদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের বেথনি আল-হায়দারি। তিনি বলেন, তাদের কারাগারে পাঠানো ঠিক হয়নি এবং তাদের মুক্তি অবশ্যই কোনও অস্থায়ীভিত্তিতে না হওয়া উচিত হয়নি।
বেথনি আল-হায়দারি বলেন, ‘তাদের আটক করা হয়েছে। প্রিয়জনদের কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে। মতামত প্রকাশের জন্য তাদের সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে মত প্রকাশ কোনও সন্ত্রাসবাদ নয়।’ ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই দুই সৌদি-আমেরিকানকে গ্রেফতার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ আনা হয়। আগামী ৮ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচার কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় এমন সময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে যখন হোয়াইট হাউজে মিত্র ট্রাম্পকে হারিয়েছে রিয়াদ। জো বাইডেনের নেতৃত্বে প্রশাসন এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির ব্যাপারে ট্রাম্পের নীতি বদলে দিতে শুরু করেছে। ক্ষমতায় এসেই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির আগাম অনুমোদন দিয়েছিলেন সেগুলোও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন প্রশাসন। দায়িত্ব গ্রহণের পর ২৭ জানুয়ারি নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পর্যালোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা নিশ্চিত হওয়া যে, আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়টি এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কিনা। এ বিষয়টিই এখন আমরা যাচাই বাছাই করছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।