করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিনের এক ডোজ নেওয়ার পর ৯০ শতাংশ সুরক্ষা মিলছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের দাবি। ইসরায়েলে পরিচালিত গণটিকা কর্মসূচি সংক্রান্ত ডাটা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে এ দাবি তাদের। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ১ম ডোজ নেওয়ার ২১ দিনের মধ্যে এ সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

এদিকে ইসরায়েলি ভ্যাকসিন প্রচেষ্টার ইন চার্জ অধ্যাপক নাচমান অ্যাশ গত মাসে দাবি করেছিলেন, ফাইজার যেমনটা বলেছে তার চেয়েও কম কার্যকর প্রথম ডোজ।

ফাইজার ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। সুরক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকে সমালোচনা শুরু করে। কারণ ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা।

সমালোচকদের দাবি, এক ডোজ টিকা নেওয়ার পর পর্যাপ্ত ইমিউনিটি তৈরি হবে না। সম্প্রতি একটি মুদ্রণ পূর্ববর্তী গবেষণা প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছিল এক ডোজে অতো একটা কার্যকর হবে না। ইসরায়েলে টিকা্দান কর্মসূচির অভিজ্ঞতার আলোকে সে গবেষণাটি করা হয়েছিল।

ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল হান্টার ও ড. জুলি ব্রেইনার্ড আবারও ইসরায়েলি টিকা কার্যক্রমের ডাটা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া আগেই উচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা তৈরি হয়েছে। তারা আরও সতর্ক করেছেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রথম আটদিনে সংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে। এর জন্য মানুষের সচেতনতার ঘাটতিকে দায়ী করেছেন গবেষকরা।

অধ্যাপক হান্টারের দাবি করেছেন, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের ১৪ দিন পর্যন্ত কার্যকারিতা শূন্য। এরপর ২১ দিন পর্যন্ত ধীরে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা তৈরি হয়। এর মানে হলো এক ডোজের ভ্যাকসিনও উচ্চ মাত্রায় সুরক্ষামূলক হতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ২১ দিন সময় দিতে হবে।