×

আন্তর্জাতিক

কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করায় রিয়ান্না-থানবার্গের সমালোচনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৩১ পিএম

কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করায় রিয়ান্না-থানবার্গের সমালোচনা

রিয়ান্না-থানবার্গ।

কৃষক আন্দোলনের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে সুর চড়া হতেই তার সমালোচনা করে একে ‘স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সমর্থন’ বলে দাবি করল ভারত। পপস্টার রিহানা বা পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের মতো সেলিব্রিটির কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে টুইট করেন রিহানা এবং থুনবার্গ। তা ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ভাঙচুর দেখা যায়।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে সেলিব্রিটিদের নাম উল্লেখ না করে তাঁদের তীব্র সমালোচনা করা হয়।

রিহানা লেখেন, ‘কেন আমরা এই বিষয় নিয়ে কথা বলছি না’? ভারতে ঘটে চলা কৃষক আন্দোলন আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠা উচিত বলেও সংক্ষিপ্ত বার্তায় বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ওই বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন পোস্টে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব লিখেছেন, ‘কোনও বিষয়ে তড়িঘড়ি মন্তব্য করার আগে তথ্যগুলি সুনির্দিষ্ট ভাবে জেনে নেওয়ার অনুরোধ করব। যে বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে, তা সুস্পষ্ট ভাবে বোঝাও উচিত। সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তোলা হ্যাশট্যাগ বা মন্তব্যের প্রলোভন যখন থাকে, বিশেষ করে যদি কোনও সেলিব্রিটি তা করেন, তবে তা নির্ভুল বা দায়িত্ব সম্পন্ন হয় না’।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কৃষি আইনের সংস্কারের বিরুদ্ধে ভারতের কয়েকটি প্রান্তের অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশের কৃষকেরাই বিরোধিতা করছেন। প্রতিবাদীদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে ভারত সরকার এ নিয়ে দফায় দফায় তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে’। পাশাপাশি, ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,এ বিষয়ে মদভেদের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই ৩ কৃষি আইন যে বলবৎ হবে না, সে নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে রিহানার এই টুইট দেখে তাঁকে আক্রমণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। রিহানার বিরোধিতা করে তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘কেউ এ সব নিয়ে কথা বলছে না, কারণ ওরা কৃষক নয় জঙ্গি। যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে। যাতে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া আমাদের দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে চিন এবং সেখানে চিনা উপনিবেশ তৈরি হতে পারে। যেমন আমেরিকায় হয়েছে’।

রিহানা বা থুনবার্গের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তে কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভেরও সমালোচনা করেছে ভারত। আমেরিকায় বিক্ষোভকারীদের মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাকে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাজ বলে দাবি করেছেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে অনুরাগ লিখেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে আন্তজার্তিক স্তরে সমর্থন জোটানোর চেষ্টা করছে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। বিশ্বের কয়েকটি প্রান্তে এ ধরনের গোষ্ঠী মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি কলুষিত করেছে। এটা ভারতের তো বটেই, যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষেও অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়’।

এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতের কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তার কড়া জবাবও দিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App