করোনা আরেকটু কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:১৫ পিএম
করোনা কমছে, আর একটু কমলে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দেব। ততোদিন অনলাইনে ক্লাস নেবার ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার জাতীয় সংসদের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যেও আমরা বই বিতরণ করেছি। শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূল ধারায় আনার চেষ্টা করে কর্মদক্ষ জন শক্তিতে রুপান্তরিত হতে পারে সে চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, যদিও এখন স্কুল কলেজে বন্ধ, তবে স্কুল-কলেজে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আর একটা ভালো কাজ হয়েছে সকলকে পাস করানো হয়েছে। রেজাল্ট পাওয়ার পরে তাদের মনে একটা ভালো দিক এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ২০০০ ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি, আরো নেব। টেকনিশিয়ান নেব, আমরা গবেষণার কাজ বাড়াব। হিজরাসহ দুর্বল গোষ্ঠীকে জীবনমান উন্নত করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংসদ নেতা বলেন, করোনার কারণে আমরা এক লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা এক হাজার কোটি টাকা ভ্যকসিন কেনার জন্য বরাদ্দ রেখেছিলাম। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা, আসার পরে সমালোচনা থেমেছে। ভারত আমাদের বিশ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে। বাকিটা আমরা কিনে নিচ্ছি। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনালের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বিএনপির মিধ্যে কথা বলা জম্মগত চরিত্র, পেটের মধ্যে থাকলে তারা মিথ্যে বের করবেই। যা তাদের চরিত্র আর কি? আমরা জরুরি সেবা সংশ্লিষ্টদের আগে কোভিড টিকা দেবার ব্যবস্থা করবো। তালিকা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা অনেক অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করি , কিন্তু কোভিড আক্রমণের ফলে তা অনেকাংশে সম্ভব হয়নি, কাটছাঁট করতে হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক সময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চলতো, ১৯৯৮ সালে আমরা ঘোষণা দিলাম আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। কিন্তু তখন তারা বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভাল না তা হলে সহায়তা আসবে না। আমরা ৪০ লক্ষ টান খাদ্য খাটতি নিয়ে ৯৮ লক্ষ টান খাদ্য উৎপাদন করে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। করোনায় পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের বাজেটের কাট ছাট করেছে। আমরা তা করিনি। আমরা আমাদের জিডিপি ৮.১ এ ধার্য করে রেখেছি। যদিও দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা এক নম্বরে আছি। বিএনপি সারের জন্য ১৮ জন কৃষককে গুলি করে মারে আর আজ কৃষকের পিছনে সার ঘোরে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ভূমিহীনদের ৬৬ হাজার ঘর তৈরি করে দিয়েছি, আরো কয়েক লাখ ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। মুজিবের দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্রমুক্ত করতে হলে তার একটা ঠিকানা থাকতে হয়। আমরা প্রতিটি গ্রামের মানুষকে শহরের সুবিধা পায় তার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিএনপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যে দল ৬-৬ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, এতিমের টাকা মেরে খেয়ে জেলে যায়, ট্রাকের পর ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত; তাদের মুখে উন্নয়নের কথা কিভাবে খাটে। যারা দুর্নীতির দায়ে বিদেশে পালিয়ে আছে, সে কিভাবে একটি দলেল প্রধান হিসেবে থাকে। তাদের পদ্মা সেতু নিয়ে কি বা বলার আছে। যাদের নিজেরে গায়ে হাজার ফুটা তারা আমরা উন্নয়ন নিয়ে এত কথা বলে কি করে। এ পদ্মা সেতু দিয়ে দু’বঙ্গের সেতুবন্ধনের ফলে জিডিপির ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। একসময় রেল নিয়ে বাধা দেয়া হয়। আমি বলেছিলাম রেলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখন রেল হচ্ছে। একদিন রেলকে বিএনপি গোল্ডেন হ্যান্ড শেকে দিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। আমরা তার উন্নয়ন ঘটাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু হচ্ছে, আবার ভেঙে না যায়; আমি বলবো এখন তারা কিভাবে এত বড় পদ্মা পার হবে। তবে আমাদের নৌকা অনেক বড়, তবে বেছে বেছে নেব, কেউ যেন নৌকায় বসে আবার ফুটো করে না দেয়। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।