×

জাতীয়

আমরা করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে আসছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:৫৯ পিএম

আমরা করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে আসছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় সংসদে বলেছেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্স অনুযায়ী আমরা করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে আসছি। তিনি বলেন, আমাদের এখন ৩ শতাংশ সংক্রমণের হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্সে বলে ৩ শতাংশের নিচে যখন আসতে থাকে তখন করনো আস্তে আস্তে দেশ থেকে ফেজ আউট হয়ে যায়। কাজেই সেই পর্যায়ে চলে আসছি। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের একাদশ অধিবেশনে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আনিত বিলের ওপর আনিত সংশোধনী প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা কিভাবে মোকাবেলা করেছি সেটা আপনারাও জানেন দেশবাসীও জানে। বিশ্ববাসী প্রশংসা করেছে। ব্লুমবার্গ বাংলাদেশকে ২০তম দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দু’বার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে চিঠি পাঠিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ৮ হাজার লোক মারা গেছে, আমরা সকলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করি। পক্ষান্তরে ভারতে ১ লাখ ৬০ হাজার মারা গেছে। ইউএসএ এতো শক্তিশালী দেশ সেখানে সাড়ে ৪ লাখ মৃত্যুবরণ করেছে। যুক্তরাজ্যে ১ লাখের বেশি। প্রধানমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে আমাদের গাইড করছেন। একটি মিটিংও তিনি বাদ দেননি। আমাদের প্রতিদিন নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, মাত্র একটি ল্যাব ছিলো বাংলাদেশে। এরপর ২০০টি ল্যাব এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায়নি। ৩৫টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিলো আমরা ৯০টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এনেছি। অনেকে বলেছিলেন ভেন্টিলেটর লাগবে। কিন্তু এখন সব ভেন্টিলেটর খালি পড়ে রয়েছে। দরকার ছিলো সেন্ট্রাল হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা। আমরা যখন এটি জানলাম তখন লকডাউন থাকা অবস্থায় নিয়ে আসছি কয়েক হাজার হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। ফলে আমাদের মৃত্যুহার কম রাখতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এটা করে অনেক সফল হয়েছি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উনি শপথ নেওয়ার ‍দিন ১৫টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তারমধ্যে একটি হল নো মাস্ক নো সার্ভিস যেটা প্রধানমন্ত্রী ৩ মাস আগে করেছেন। সেটা আমেরিকার মতো বড় দেশ সেদিন করলো। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দেইনি যারা দুর্নীতি করেছে। রিজেন্ট হাসপাতাল সম্পর্কে বলেন, আমরা একটা হাসপাতাল নিয়েছিলাম করোনার জন্য, তখন তো কেউ এগিয়ে আসছিল না। কিন্তু হাসপাতালের জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি, তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে করোনা টেস্টে দুর্নীতি করেছে বলে। অন্যদিকে টেস্ট নিয়ে দুর্নীতি করে ডা. সাবরিনা। আমরা দুটোরই আইনে সোপর্দ করেছি। তারা এখন জেলে আছে। যেখানেই যে অন্যায় করেছে আমরা তাদের জেলে দিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App