গৃহকর্মীকে ধর্ষণের মামলায় চিকিৎসক কারাগারে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৭ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় কৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ডা. আহসান নুর নামের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গত শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রায়হানুজ্জামান। তিনি বলেন, শনিবার রাতে এক নারীর করা মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই ডা. আহসান নুর নামের ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
তাকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল কিনা প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন, বয়স্ক ব্যক্তি ও এজমার রোগী হওয়াতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি। অভিযোগের সদত্যতার কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। উল্লেখ্য, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় ডাক্তার আহসান নুর (৭০) শনিবার (৩০) দুপুরে তার বাসায় গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহকর্মী। এঘটনায় চিকিৎসককে আসামী করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী গৃহকর্মী শনিবার রাতে থানায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, শনিবার দুপুরে ওই বাসায় কাজ করতে গেলে ডাক্তার আহসান নুর আমাকে বলে, ‘তুই বাঁচতে চাস না, তোর না একটা মাইয়া আছে। তোর মাইয়া কি তোরে দেখবো না। আমি কই ‘হ’। আমার জামাই যখন আমায় ছাইড়া গেছে, তখনই তো আমি মইরা যাইতে লইছিলাম। তহন মাইয়ার লাইগ্যাই বাঁইচা আছি। আমি মইরা গেলে মাইয়াড্যারে দেখবো কে? পরে আমারে জোর কইরা নিয়ে ধর্ষণ করছে। আমি চিৎকারও করতে পারি না, চিৎকার করতে চাইলে বলে আমারে মাইর্যালাইবো। আমারে কথাও কইতে দেয় নাই।’’
তিনি আরো বলেন, ‘আমারে অনেকক্ষণ টর্চার করছে। তখন আমি ওঠতে পারি নাই। পরে আমারে নাপা ট্যাবলেট দিছে। ওই ট্যাবলেট খেয়ে আমি বাসায় যাই। ঘটনাটি আমার বড় বোন জেনে যাওয়ার পর ওই ডাক্তারকে ফোন দেয়। ফোন দেওয়ার পরই ডাক্তার নিজের দোষ এড়াতে শনিবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ভুক্তভোগী গৃহকর্মী ও তার বড় বোনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
জিডির বিষয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিডিতে বলা হয়েছে বাড়ির মালামাল লুট করে পালিয়েছে গৃহকর্মী। সেই সঙ্গে গৃহকর্মী ও তার বোন ওই ডাক্তারকে মোবাইল ফোনে নানান রকম ভয়-ভীতি দিখিয়েছেন। এছাড়া এক সাংবাদিক ওই ডাক্তারকে ফোন করায় সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও জিডি করেছে চিকিৎসক। ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর বড় বোন বলেন, 'বাবার থেকেও বয়সে বড় নানার সমান একটা লোক কিভাবে এই মেয়েটার সাথে এমন একটা জঘন্য কাজ করলো। আমি তার বড় বোন, আমার কতটুকু কষ্ট লাগতে পারে। ওর টেনশনে আমি খুব অসুস্থ হয়ে গেছি। সারাদিন কিছু খাইতেও পারি নাই। আমার প্রেসার হাই হয়ে গেছে, আমি বিছানা থেকেও উঠতে পারছি না।