×

জাতীয়

‘তবুও তরী বাইতে হবে’ জাতীয় নারী সম্মেলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:১৪ পিএম

‘তবুও তরী বাইতে হবে’ জাতীয় নারী সম্মেলন

“তবুও তরী বাইতে হবে” শিরোনামে নারীপক্ষ’র দুইদিন ব্যাপী জাতীয় নারী সম্মেলনের আজ শেষ দিন। ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা’ গানটির সাথে নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মসূচির ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।

“নারী মুক্তি আন্দোলন: কতিপয় মৌলিক বিষয় ও বিতর্ক” শীর্ষক আলোচনায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ফিরদৌস আজীম, নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী, নারীপক্ষ এবং সহসঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ফজিলা বানু লিলি, নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী, নারীপক্ষ। উক্ত অধিবেশনে বক্তার আসন অলংকৃত করেছেন আন্তর্জাতিক নারী আন্দোলনের বিশিষ্ট নেত্রীবৃন্দ

১. শান্তি দায়রিয়াম, প্রতিষ্ঠাতা, ইরো এশিয়া প্যাসিফিক, মালয়েশিয়া সিডও এর অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে নারীর সমতার জন্য আন্তর্জাতিক সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নারীমুক্তি আন্দোলনকারী সংগঠনসহ সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, কোন রাষ্ট্র সিডওতে শুধু অনু স্বাক্ষর করলেই হবে না বাস্তবে নারীরা সিডওতে বর্ণিত অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২.সিভানানথী থানেনথীরান, নির্বাহী পরিচালক, এশিয়া প্যাসিফিক রিসোর্স এন্ড রিসার্চ সেন্টার, মালয়েশিয়া নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নারীমুক্তি আন্দোলনের একটি মূল বিষয় হওয়া উচিত ‘নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’। ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’ শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা নয়, নারীর জীবন জীবিকা উন্নয়নের জন্য অধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি । যেমন, নারীর জন্য জলবায়ু, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি। তিনি আরো বলেন, হিজরা ও সমকামীদের অবহেলা না করে বরং নারী আন্দোলনের বিষয় হিসেবে গন্য করে আন্দোলনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে স্ত্রীর অসম্মতিতে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য করার উপর জোর দেন।

৩. মাধু মেহরা, নির্বাহী পরিচালক, পার্টনারস ফর ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট, নয়াদিল্লী, ভারত জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে বৈষম্যমূলক আইন সংস্কার, নারী সুরক্ষার জন্য নতুন আইন প্রনয়ণ এবং বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে একত্রিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। মৃত্যুদন্ড কোন অপরাধের শাস্তি হতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মশালা ও সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী মুক্তির লক্ষ্যে সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করা হয় এবং সেই আলোকে সুপারিশ সমূহ একসাথে বাস্তবায়ন করার জন্য আলোচনা করা হয়। উক্ত অধিবেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন গীতা দাস, সদস্য নারীপক্ষ এবং সহসঞ্চালক হিসেবে ছিলেন রওশন আরা, আফসানা চৌধুরী, কে. এ. জাহান রুমী, সামিয়া আফরিন এবং রিতা দাস রায় যারা সবাই নারীপক্ষ’র সদস্য।

সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে “নারীবাদী নেতৃত্বের বিকাশ: পথ চলার অভিজ্ঞতা” শীর্ষক আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন শিরীন হক, নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী, নারীপক্ষ এবং সহসঞ্চালক হিসেবে ছিলেন কামরুন নাহার, সদস্য, নারীপক্ষ। বক্তার ভূমিকায় ছিলেন মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন সিনিয়র উপদেষ্টা, রয়েল ট্রপিকেল ইনিষ্টিটিউট, আমষ্টারডাম; শাহানা হানিফ, কমিউনিটি সংগঠক, নিউইয়র্ক সৈয়দা; সামারা মোরতাদা, আঞ্চলিক আন্দোলন নির্মাতা (ঝযব উবপরফবং) ও প্রতিষ্ঠাতা, প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী; খাওয়ার মমতাজ, সভাপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App