করোনা মহামারির কারণে বিলম্বিত এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা ৪৮ মিনিটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২০ এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে এই ফল ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে ফলাফল ঘোষণার উদ্বোধন করেন।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তিনি ১১ বোর্ডের চেয়ারশ্যানের কাছ থেকে ফল গ্রহণ করেন।

তবে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘিরে এবারে নেই চিরায়ত কোনো উচ্ছ্বাস। ফল নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতেও শিক্ষার্থীদের নিষেধ করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের অনলাইনেই ঘরে বসে ফল দেখতে হচ্ছে। যতোটুকু আনন্দ সেটা পরিবারের সঙ্গেই ভাগাভাগি করতে হচ্ছে।

এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে দেশের পৌঁনে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটলো। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।

[caption id="attachment_263018" align="alignnone" width="1256"] প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি[/caption]

কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।

কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান যুক্ত করতে হয়েছে, যা গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অনুমোদন পায়।

সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর সোমবার রাতে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি কর সরকার।

এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।