×

বিনোদন

‘অপ্রত্যাশিতভাবে পুরস্কারটা পেয়েছি’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:৩০ পিএম

‘অপ্রত্যাশিতভাবে পুরস্কারটা পেয়েছি’

ফেরদৌসী মজুমদার

ফেরদৌসী মজুমদার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার। আর চলতি সপ্তাহে আত্মজীবনী বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তিনি। আগামী ১৮ মার্চ অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে মেলার মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশের এই বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সাক্ষাৎকার তৌহিদা জাহান

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন। আপনার অনুভূতি জানতে চাই? খুব ভালো লেগেছে। পুরস্কারপ্রাপ্তি তো অবশ্যই সম্মানের। আমি কখনোই আশা করিনি এটা। অপ্রত্যাশিতভাবে পুরস্কারটা পেয়েছি। আমার পরিবার সম্পর্কে লেখা হয়তো সবার ভালো লেগেছে, না হলে এ পুরস্কার পেতাম কিনা জানি না। আমি তো আত্মজীবনী গ্রন্থে নিজের কথা, পরিবারের কথা বলেছি। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি আমাকে ভীষণ রকম আনন্দ দিয়েছে। যারা আমাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

পুরস্কারপ্রাপ্তি কাজের ক্ষেত্রে কতটা অনুপ্রেরণা জোগায় বা প্রভাব তৈরি করে? পুরস্কার পেলে আসলে দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। মনে হয়, এর চেয়ে আরো ভালো কিছু লিখতে হবে। পুরস্কার তো অবশ্যই অনুপ্রেরণা জোগায়। আবার পুরস্কার না পেলে যে কাজ থেমে থাকে, তাও না। কেউ যখন সাহিত্য চর্চা কিংবা শিল্পচর্চা করে, সেটা ভালোবেসেই করে। পুরস্কার পেলে সেই কাজে উৎসাহ বাড়ে। সেই সঙ্গে কাজটির প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতাও বাড়ে।

এ বয়সেও আপনি নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় করেন। এই শক্তি বা প্রেরণার উৎস কী? আমি অভিনয় করতে ভালোবাসি। যে কোনো কাজ ভালোবাসা ছাড়া হয় না। চাকরিতে যারা উন্নতি করে নিশ্চয়ই সেই কাজটাকে তারা সে রকমভাবেই ভালোবাসে। উন্নতি করার জন্য কিংবা কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কিছু করা আমি পছন্দ করি না। আমি যখন অভিনয় শুরু করেছিলাম, তখনো আমার মনের মধ্যে কিছু না কেবল অভিনয় করা, সংলাপ বলা, ভালো নাট্যকারের নাটক করা, ভালো নির্দেশকের নির্দেশনায় কাজ করা ভালো লাগত যা এখনো লাগে। কোনো কিছু পাবো বলে তো অভিনয় বা থিয়েটারচর্চা করিনি। কিন্তু থিয়েটার করতে এসে অনেক কিছু পেয়েছি। নাটকের সঙ্গে থাকতে ভালো লাগে, নাটকের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে থাকতেও ভীষণ ভালো লাগে। আর সে জন্যই এখনো নাটক করা। আসলে নাটকের প্রতি ভালোবাসার কারণেই এখনো মঞ্চে অভিনয় করতে পারছি।

এ সময়ের থিয়েটার চর্চা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই? আগের থেকে থিয়েটার এখন অনেকটাই ভালো পর্যায়ে আছে। একটা সময়ে নাটকে মেয়েরা আসতে চাইত না। কিন্তু এখন তারা আসছে এবং নিয়মিত হচ্ছে। তবে ভালো পাণ্ডুলিপি, নাট্যকার, নির্দেশকের অভাব আছে। ভালো নাটক নেই বলেই ভালো প্রতিভা কিংবা অভিনয় শিল্পী আসছে না। একেবারে যে আসছে না তা বলব না, অনেক ভালো অভিনেতা এসেছে কিন্তু সে রকম উল্লেখযোগ্য নয়। আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি একনিষ্ঠভাবে চেষ্টা করে তাহলে ভালো কিছু হবে। ভালোবেসে কিছু করলে সেখান থেকে সফলতা আসবেই।

আপনার আগামী দিনের পরিকল্পনা কী? কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি কখনো লেখক ছিলাম না। নিজেও জানি না কীভাবে লেখক হয়ে গেলাম। আমার যা ভালো লাগে, যা মন ছুঁয়ে যায়, যে ঘটনা আমার অসাধারণ মনে হয়, যা আগে কখনো দেখা হয় নি, যাদের আমার খুব ভালো লাগে, আমি সে সবই লেখার চেষ্টা করি। যেমন- আমার পরিবার নিয়ে লিখেছি। মা-বাবা ও চৌদ্দ ভাইবোনের একটা রঙিন পরিবার ছিল আমাদের। তারাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করে লিখতে। তাই তাদের আলাদা চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আমার লেখনীতে। ভবিষ্যতে হয়তো আরো লিখব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App