×

সারাদেশ

কমান্ডারের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ, ১০ বছর পর মীমাংসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:১৫ পিএম

কমান্ডারের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ, ১০ বছর পর মীমাংসা

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেন

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। ১২ জানুয়ারি ৪ লাখ টাকা দিয়ে আপোষে নিস্পত্তি করা হয়েছে।

চৌমহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের লতিফ হোসেন ও স্ত্রী আমিরুন্নেছার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আমির হোসেন ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে আমিরুন্নেছা উল্লেখ করেন, চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাবক্সপুর গ্রামের ফরিদ হোসেন গত ১০ বছর ধরে তার ছেলের নামে যে ভাতা সরকার দেয় সেই ভাতার টাকা থেকে তিনি অর্ধেক নিয়ে যান।

আমিরুনেছা লিখিত অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টেন (অব.) কাজী কবির উদ্দিন, চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপন মিয়া, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা, সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ সেলিনা আক্তার ঘটনাটি আপোষ করতে আমিরুনেছার পরিবার ও ফরিদ হোসেনকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বসেন। সেখানে ফরিদ হোসেনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাতিজা নাঈম মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেন তাদের কাছ থেকে চেক বই নিয়ে যায়। চেক বই থেকে টাকা তুলে ফরিদ হোসেন অর্ধেক টাকা নিয়ে যেতেন। অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টন (অব.) কাজী কবির, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বারসহ সবাই বসে ফরিদ হোসেনকে ৪ লাখ টাকা দিতে রায় দেন।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রী নুর জাহান জানান, ফরিদ হোসেন ১০/১২ বছর যাবত টাকা তুলে খাচ্ছে। কাউকে বললে তাদেরটা বাতিল হয়ে যাবে বলে আমাদের ভয় দেখাতেন।

চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আপন মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছিল। ক্যাপ্টেন কবির ইউনিয়ন পরিষদে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন।

চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগগুলো সমাধান হয়ে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App