×

জাতীয়

চুরির আগে রেকি করে টার্গেট ঠিক করে তারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫০ পিএম

চুরির আগে রেকি করে টার্গেট ঠিক করে তারা

এ চক্রের সদস্যরা টার্গেট করে চুরি করে

এ চক্রের সদস্যরা চুরি করার আগে রেকি করে টার্গেট ঠিক করে। মূলত বড় ধরনের চুরি করা সম্ভব এমন বাসা বা ফ্ল্যাট বাছাই করে তারা। সাধারণত টার্গেট ঠিক হলে এলাকার আশ-পাশেই বাসা ভাড়া নেয়। পরে গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে চুরি করে তারা। কাজ ও ভাগ বাটোয়ারা শেষে বাসা ছেড়ে যার-যার এলাকায় গিয়ে গাঁ ঢাকা দেয়। তদন্ত জিজ্ঞাসাবাদে দেখা গেছে এরা আরো কয়েকটি বাসায় অনেক বড় চুরির কথা স্বীকার করলেও ভুক্তভোগীরা মামলা করেনি। ফলে তারা প্রশ্রয় পেয়ে চুরি চালিয়ে গেছে। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে চুরির অনেক ঘটনাতেই নানা কারনে মামলা করছেন না ভুক্তভোগীরা। ফলে অপরাধী ধরলেও উযুক্ত অভিযোগ না থাকায় আদালতে গিয়ে সহজেই জামিন পাওয়ার মত ঘটনা ঘটছে। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে এসব ঘটনা ঘটলে থানায় অভিযোগ করার।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রীল কাটা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরহাদ, নাহিদ, মানিক, জিসান, কামাল ও কালাম। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ডিবি তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) বায়েজিদুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, আড়াই মাস আগে রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার একটি বাসায় প্রায় ১ হাজার ৯০০ ডলার, প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণ ও পাঁচ লাখ টাকা চুরি হয়। পরে এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হলে আমরা তদন্ত শুরু করি। এ মামলার কোনভাবেই ক্লু বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে তদন্তের এক পর্যায়ে জিসানের বিষয়ে জানা যায়। তাকে আটক করা হলেও তিনি এ চুরির কথা অস্বীকার করেন। তবে কামাল ও কালাম ছাড়াও মানিক নামের এক ভ্যান চালকের বিষয়ে তথ্য জানান। পরে খোঁজ করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এর মধ্যে মানিক চুরির কথা স্বীকার করেন। তার তথ্যানুযায়ী ফরহাদ ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রফিক নামে এ চক্রের এক সদস্যর কাজ শুধু এলাকা রেকি করা। মানিকের ভ্যানে চড়েই দুজন মিলে এলাকা রেকি করে তারা। টার্গেট ঠিক হলে আশ-পাশে বাসা ভাড়া করে রফিক। চুরিতে গেলে মানিক এলাকা ঘোরা-ফেরা করে পুলিশ ও দারোয়ানদের প্রতি নজর রাখেন। বাকিরা চুরি করে। লালমাটিয়ার ওই বাসায় চুরি করতে যায় ফরহাদ, নাহিদ ও মানিক। মানিক জানায় ফরহাদ গ্রীল কাটে আর গড়নে পাতলা হওয়ায় কাটা গ্রীল দিয়ে বাসায় ঢুকে চুরি করে নাহিদ ।

স্বর্ণ বিক্রি করে ফেললেও তাদের কাছ থেকে ৭০০ ডলার উদ্ধার করা গেছে। জিসানের কাছ থেকে গ্রেপ্তারের সময় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বাসা থেকে চুরি করা ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও জ্ঞিাসাবাদে সে জানিয়েছে সম্প্রতি গ্রীণ রোডের একটি বাসা থেকে ১৮টি হিরার আংটি ও বদরুননেছা কলেজের প্রিন্সিপালের অফিসেও চুরি করেছে সে। এছাড়াও ধানমন্ডিসহ বেশ কয়েকটি চুরির কথা বললেও ওইসব ঘটনায় কোন মামলা রজুর রেকর্ড পাওয়া যায়নি। ফলে তারা প্রশ্রয় পেয়ে চুরি চালিয়ে গেছে। তারা সাধারণত বড় মাপের চুরি করে থাকে। ৪-৫ বছর ধরে এ কাজ করে যাচ্ছে। রফিককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ চক্রের আরো কোন সদস্য রয়েছে কিনাসহ আরো বিস্তারিত জানতে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App