×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৪০ পিএম

কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত

কুড়িগ্রামের মানুষ কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে। উত্তর জনপদ কার্যত হিমঘরে পরিণত হয়েছে। সপ্তাহ জুড়ে পারদ নিম্নগামী থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছে বৃদ্ধা-বৃদ্ধ ও শিশুরা। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এক মুহূর্তের জন্য মঙ্গলবার ও বুধবার সুর্যের দেখা মেলেনি। এ অবস্থায় উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে ৫ থেকে ৬ টার মধ্যে বাজার রাস্তাঘাট ঘরবাড়িসহ পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে এবং তা অব্যাহত থাকে সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত। স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র জানায়, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পারদ নিম্নগামী হওয়ায় অস্বাভাবিক কনকনে ঠান্ডার মুখে পড়েছে মানুষ। সবচেয়ে বেশী বিপাকে রয়েছে জেলার নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কৃষি শ্রমিকরা। এ অঞ্চলে বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় শ্রমিকরা মাঠে পানিতে নেমে বোরো রোপণ করতে না পারায় বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগের মুখে রয়েছে, ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। সরকারি ও বেসরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করা হলেও তার পরিমাণ একেবারেই অপ্রতুল। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আরমান,উলিপুর উপজেলার কৃষি শ্রমিক রামকৃষ্ণ জানান, এত ঠান্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার উপর পানিতে নেমে চারা লাগানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে। পানিতে থাকাই যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক আলম মিয়া জানান, গত কয়েকদিন রাতের বেলা ঠান্ডা বেশি থাকলেও দিনের তেমন ঠান্ডা ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে গরম কাপড় গায়ে রিকসা চালানো যাচ্ছে না। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় হুল ফোটানো ঠান্ডা যেন শরীরে বৃদ্ধ হচ্ছে । সব মিলিয়ে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। জেলার হাতপাতালগুলোতে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীত জনিত রোগে। বৃদ্ধদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন ডায়রিয়া ও ৬ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে গত ১৫ দিন ধরে রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App