স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশ টিকা কিনতে সক্ষম হয়নি, কিন্তু আমরা পেরেছি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা বিতরণ কার্যক্রম কর্মসূচিনর সার্বিক অবস্থা দেখতে গিয়ে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী ৭ ফ্রেবুয়ারি থেকে একযোগে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।

বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা দিয়েই বাংলাদেশে শুরু হবে কোভিড-১৯-এর টিকাদান প্রক্রিয়া। কাল বেলা সাড়ে তিনটায় এই হাসপাতালে করোনার টিকাদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন। বৃহস্পতিবার দেশের পাঁচটি হাসপাতালে (কুর্মিটোলাসহ) সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন টিকা ব্যবহারের উপযোগিতা সনদ দিয়েছে। এর ফলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে আসা ৫০ লাখ টিকা প্রয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালেও করোনার টিকাদানে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছায়। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯-এর এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোভিশিল্ডের ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।