হাইকোর্টের সামনে ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তি ডিস ব্যবসায়ী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০২:২৫ পিএম
ফাইল ছবি
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। তার নাম হামিদুল ইসলাম (৫৭)। তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় ডিস লাইনের ব্যবসা করতেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাসদ এর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও শাহবাগা থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহতর ছোট ভাই মো: ওয়াহিদুল ইসলাম ও আরেক ভাই শহিদুল ইসলাম তার পরিচয় সনাক্ত করেন।
তারা জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর কলেজ রোডে। তাদের বাবার নাম মৃত রফিকুল ইসলাম। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলো হামিদুল। মেয়ে নায়না ইসলাম (২৪) ও ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২১) সহ স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে নিয়ে সেগুনবাচিগা হাইস্কুলের পাশে বসতি-ময়ূরী এপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। ৯০ সালের পর থেকে তিনি সেগুনবাগিচা ও এর আশপাশের এলাকাতে ডিস লাইনের ব্যবসা করছিলেন তিনি।
ছোট ভাই ওয়াহিদুল বলেন, হামিদুলের সাথে কারো শত্রুতা আছে বলে আমরা শুনিনাই। আর তার শরীরে ছুরিকাতের চিহ্ন দেখে আমাদের মনে হচ্ছে এটি ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত। কেনোনা কেউ তাকে হত্যার উদ্যেশ্যে ছুরিকাঘাত করলে তার বুকে বা পেটে ছুরিকাঘাত করতো, তার পায়ে ছুরিকাঘাত করতোনা।
তার ম্যানেজার সাদেক মিয়া জানান, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে তিনটা ফ্ল্যাট রয়েছে হামিদুলের। সাদেক সেখানকার ম্যানেজার।
গতকাল রাতে হামিদুল তাকে ফোন দিয়ে বলেন, বাসার ভাড়ার টাকাগুলি তাকে দিয়ে আসতে, তিনি হাইকোর্ট মাজারের সামনে আছেন। এরপর সাদেক ভাড়ার ১২হাজার টাকা নিয়ে রাত ৮টা ১০মিনিটের দিকে হাইকোর্ট মাজারের সামনে যান। সেখানে জামালের চায়ের দোকানে ২জন বসে চা পান করে ১২ হাজার টাকা হামিদুলের হাতে দেওয়ার পরে ম্যানেজার সাদেক সিদ্দিকবাজারের দিকে ও হামিদুল তার বাসার দিকে চলে যান।
এরপর রাত দেড়টার দিকে হামিদুলের ছেলে ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে বলেন, তার বাবা বাসায় ফিরেনি এখনও। এরপর খোজখবর নিতে থাকেন সাদেকও। মধ্যরাতে তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে তার লাশের খোজ পান। ছিনতাইকারীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের ধারনা। চা পান করার সময়ই হয়তো তাকে ফলো করেছে ছিনতাইকারী