কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশ যত উন্নতই হোক কৃষির যদি উন্নতি না হয়, তাহলে মানুষের জীবিকার উৎস বাড়বে না, আয় বাড়বে না। দেশের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ যারা গ্রাম বাস করে তাদের আয় মূলত কৃষির উপরই নির্ভর করে। তাদের আয় না বাড়লে স্থানীয় বাজার উন্নত হবে না। আর স্থানীয় বাজার উন্নত না হলে শিল্প-কারখানার প্রসার লাভ করবে না। ফলে বিদেশি বিনিয়োগও সেভাবে আসবে না। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেখানে বিনিয়োগ করে বা যে পণ্যটি উৎপাদন করবে, তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবে কিনা সেটি আগে বিবেচনা করে। সেজন্য শুধু রপ্তানিনির্ভর পণ্যের জন্য তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হয় না।
রবিবার (২৪ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু এর বিদায় উপল্েয আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এ কাজে আমাদের সফল হতে হবে। মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের বিরাট জনসংখ্যা যা বর্তমানে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য মূল খাদ্য চাল উৎপাদন করতে হবে। এর সাথে পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য দুধ, মাংস, ডিম, মাছ প্রভৃতি উৎপাদনের জন্য পোল্ট্রি, ডেইরি ও ফিস ফার্ম করতে হচ্ছে, ফিডের জন্য ভুট্টার চাষ হচ্ছে। এছাড়া, তেলজাতীয়, ডালজাতীয় ফসলও উৎপাদন করতে হবে। এই সবগুলোর জন্য জমি লাগবে অথচ নানান কারণে চাষের জমি কমছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সকল ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো: মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।