×

মুক্তচিন্তা

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রকেই অবয়ব দিতে চেয়েছেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২১ পিএম

২৪ জানুয়ারি বাঙালির অহংকারের দিন, গর্বের দিন আবার বেদনার দিনও বটে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে এদিন বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তাদের একের পর এক হত্যার প্রতিবাদে এদিনেই সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছিল। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলেছিল রাজপথ।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ‘ছয় দফা’ ঘোষণা করার পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে। মামলার প্রকৃত নাম ছিল ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান’। অর্থাৎ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শেখ মুজিব। এই মামলায় শেখ মুজিবসহ অনেককেই আটক করা হয়। মামলার প্রধান আসামি শেখ মুজিবসহ অন্যদের মুক্তির দাবিও তীব্রতর হতে থাকে। ১৯৬৯ সালে ছয় দফার সমর্থনে গঠিত হয়েছিল ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ। সৃষ্টি হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক বলয়ের আটটি দলের নেতাদের নিয়ে আট দফার দাবিনামা নিয়ে ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন কমিটি (ড্যাক)’। এতে ছয় দফা অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে আওয়ামী লীগের কারো কারো মনে সাময়িক অসন্তুষ্টি থাকলেও তারা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলাকেই বৃহত্তর স্বার্থ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের লক্ষ্য ছিল শেখ মুজিবসহ অন্যদের মুক্তি এবং সামরিক শাসনের উৎখাত। ‘জেলের তালা ভাঙ্গবো শেখ মুজিবকে আনবো’ মিছিলসহ ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষ রাজপথে বের হলে সেই মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মতিউর রহমান মল্লিক নামের এক কিশোর। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পূর্ববর্তী নানা ঘটনা পরম্পরাসহ মতিউরের নিহত হওয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাপক। ২৪ জানুয়ারি বাঙালির অহংকারের দিন, গর্বের দিন আবার বেদনার দিনও বটে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে এদিন বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তাদের একের পর এক হত্যার প্রতিবাদে এদিনেই সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছিল। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলেছিল রাজপথ। সেই মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নবকুমার ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর। সেই থেকে ২৪ জানুয়ারিকে গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের পশ্চাতে ছিল পাকিস্তানি শাসকদের দীর্ঘ অত্যাচার, জেল-জুলুম, হত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়নের ধারাবাহিক ইতিহাস। সেই ইতিহাস আমাদের আবেগের অন্তহীন সাগরে ভাসিয়ে দেয়। নিহত কিশোর মতিউরের পকেটে থাকা চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি, যদি না ফিরে আসি তাহলে মনে করো, তোমার মতিউর বাংলার মানুষের জন্য, শেখ মুজিবের জন্য জীবন দিয়ে গেল, ইতি মতিউর রহমান।’ কিশোর মতিউরের মনেও স্বপ্নের বাংলাদেশ ও শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন সমান্তরাল সত্তার নাম। মতিউর শহীদ হওয়ায় গণঅভ্যুত্থান চ‚ড়ান্ত পরিণতি অর্জন করলেও তিনি পাকিস্তানিদের বাঙালি নিধনের ধারাবাহিক শিকারমাত্রই ছিলেন। আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলন থেকেই ১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন এক ভিন্ন রূপ লাভ করে। এই সময়পর্বে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনা এবং একইসঙ্গে বাঙালির সাংস্কৃতিক চেতনাও তীব্রতর হয়ে ওঠে। ভাষা ও সাংস্কৃতিক চেতনার ঐক্যই পাকিস্তানের অন্যান্য অংশের তুলনায় পূর্ব বাংলায় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম সাফল্য লাভ করে। যা পাকিস্তানের অন্যত্র ভাষা ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতার কারণেই সম্ভব হতে পারেনি। ১৯৬৬ থেকে শুরু হয়ে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বাঙালির ভিন্নরূপ এক জাগরণের সময়। আবার সমগ্র ১৯৬৯ সালটিই যেন বাঙালির গণঅভ্যুত্থানের বছর। মতিউরের আগে এ দেশের অসংখ্য মানুষ পাকিস্তানি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে শহীদ আসাদের নাম উল্লেখযোগ্য। তৎকালীন ছাত্রনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহসভাপতি (ভিপি) বর্তমান বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য থেকে সে সময়কার কথা জানা যায়। ১৪৪ ধারা ভাঙার ঘোষণা দেয়া হয় ঊনসত্তরের ১৭ জানুয়ারি। সে কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি মিছিল বের করা হলে গুলিতে মারা যান ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।’ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন শহীদ আসাদ। আসাদ হত্যার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঘোষিত হয় নতুন কর্মসূচি। তোফায়েল আহমেদের ভাষায় : ‘স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে যোগ দেয় কর্মসূচিতে। বাদ পড়েননি শ্রমিকরাও।’ আসাদের মৃত্যুকে ঘিরে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আসাদের (রক্তমাখা) গায়ের জামা দিয়ে পতাকা তৈরি করলাম। তার লাশ শহীদ মিনারে রেখে শপথ নিলাম, আসাদ তোমার রক্ত বৃথা যেতে দেবো না।’ ১৯৬৮-৬৯ সালে স্বৈরশাসকের নানা কর্মকাণ্ডে মানুষের মধ্যে পাকিস্তান বিরোধিতা প্রবল রূপ ধারণ করে। ২১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে মওলানা ভাসানী ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষিত হয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২২ তারিখ এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে কালো পাতাকা ওঠেনি। ২৩ তারিখ সন্ধ্যার পর হয় মশাল মিছিল। ঘটনা পরম্পরায় ২৪ জানুয়ারি হরতাল পালিত হয়। পল্টন ময়দানে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হয়েছিল।’ সে পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা শহরের সমস্ত মানুষ রাজপথে নেমে এলো। আগুন জ্বলছে। মানুষের স্রোত পল্টনের দিকে। এই যে মতিউর, মকবুল, রুস্তম ও আলমগীরÑ এই চারজনকে গুলি করে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ রাজপথে নেমে এলো। আগরতলা মামলার সাক্ষী তৎকালীন মন্ত্রী, এমনকি বিচারপতির বাড়িতেও মানুষ আগুন লাগিয়ে দিল।’ অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুবউল্লাহ গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনের সূচনা। ২০ জানুয়ারি আসাদ শহীদ হলেন। এরপর ২৪ জানুয়ারি আরেকটি হরতালের ডাক দেওয়া হয়। [...] সে ছিল এক বিশাল গণঅভ্যুত্থান। যখন আমরা পল্টন ময়দানে জড়ো হলাম, আমাদের সামনে পাঁচ লাখ লোকের বিশাল সমাবেশ। জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড আক্রোশ এবং ক্রোধ কাজ করছিল। তারা তৎকালীন গভর্নর হাউসে (বর্তমান বঙ্গভবন) হামলা করতে চাইছিল। কিন্তু এটা হঠকারী হবে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারাবে সেই চিন্তা করে আমরা শহীদ মিনারে মতিউরের জানাজা আদায় করে মিছিল নিয়ে তৎকালীন ইকবাল হলের দিকে চলে গেলাম।’ বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৬৯ সাল শুধু গণঅভ্যুত্থানেরই বছর নয়Ñ এর একটি গভীর প্রেরণাগত তাৎপর্যও আছে। সচেতনভাবে ১৯৬৯ সালই বাঙালিকে ‘আন্তরিক’ভাবে বাঙালি হয়ে ওঠার পথ প্রশস্ত করে। শেখ মুজিবসহ এ দেশের অনেক রাজনীতিবিদের ওপর চালানো জেল-জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন, কথায় কথায় মানুষের বুকের ওপর নির্বিচার গুলি বর্ষণ, ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে পরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত রাখাসহ পাকিস্তানের সব ষড়যন্ত্র বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এই ঐক্যই বাঙালিকে দিন দিন আরো গভীরভাবে যেন ‘প্রকৃত বাঙালি’ করে তুলেছে। আর বাঙালি হিসেবে প্রত্যেককে প্রত্যয়ী করে তুলেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাঙালিকে এরূপ নবতর স্ফ‚র্তি ও সামর্থ্যবান বাঙালিত্বের অভিযাত্রায় কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের পথে সক্রিয় ভরসা হিসেবে দণ্ডায়মান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর প্রতি মানুষের গভীর আস্থা ছিল বলে তিনিও ছিলেন দৃপ্ত নেতৃত্ব প্রদান ও বাঙালির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ায় অবিশ্বাস্য রকমের আত্মবিশ্বাসী! তাঁর সমকালেও এ দেশে অনেক রাজনীতিক ছিলেন। কিন্তু তাঁর মতো সাধারণ মানুষকে আশ্রয় করে, সাধারণের অধিকার আদায়ের প্রতিশ্রæতি নিয়ে, ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে এমনভাবে মানুষকে সংঘবদ্ধ করতে পারেননি। সমকালে এবং উত্তরকালে তাঁর সমান্তরাল আর কোনো নেতা উপমহাদেশে জন্মগ্রহণও করেননি। তাই দেখি, ‘গোল টেবিল’ বৈঠকে যোগদানের লক্ষ্যে ‘প্যারোলে’ মুক্তিকে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আগরতলা মামলা প্রত্যাহার এবং সে মামলায় আটক সবার মুক্তির শর্তেই কারামুক্ত হয়ে তিনি রাওয়ালপিন্ডির গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানে সম্মত হয়েছিলেন। এ দেশের মানুষের আন্দোলন-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়নি। আগরতলা মামলা যে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদেরই ষড়যন্ত্রের ফসল তাও প্রমাণ হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, বরং রাষ্ট্রকেই শেখ মুজিব নবজীবন দানের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। তাই এ দেশের সাধারণ মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বাধ্য হয়েই শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবসহ অন্যদের মুক্তি দেয়। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কারামুক্ত হলে শেখ মুজিবকে একনজর দেখার জন্য জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। ‘জেলের তালা ভেঙ্গেছি, শেখ মুজিবকে এনেছি’Ñ উত্তাল জনতার এমন সেøাগানে সেøাগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল ঢাকার আকাশ-বাতাস! সেদিন কারামুক্ত শেখ মুজিব জনতার উদ্দেশে দেয়া ভাষণের এক স্থানে বলেছিলেন, ‘সংগ্রাম করিয়া আমি আবার কারাগারে যাইব, কিন্তু মানুষের প্রেম-ভালোবাসার ডালি মাথায় নিয়া দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিতে পারিব না।’ শেখ মুজিব আমৃত্যু তাঁর কথা রেখেছিলেন। বরং এ দেশের বিভ্রান্ত ও ক্ষমতালোভী চক্রের বিশ্বাসঘাতকতার নির্মম শিকারে তিনিই পরিণত হন, নিহত হন সপরিবারে। তাও আবার এই স্বাধীন দেশেই! ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্স ময়দানে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সভার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভ‚ষিত করেন। সেই থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পরিণত হলেন বাঙালির ‘বঙ্গবন্ধু’ রূপে। রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে তাঁকে ‘জাতির জনক’ ও বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। ‘জাতির জনক’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’কে এখন ‘বিশ্ববন্ধু’ আখ্যা দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে বৈশ্বিক পরিমণ্ডল থেকেÑ তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে, সাধারণ মানুষ তাঁর রাজনীতির প্রধান অবলম্বন হওয়ার কারণে, সর্বোপরি বৈশ্বিক ও মানবপ্রেমিক নেতৃত্বের কারণে। আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App