প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কেউ গৃহহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে গৃহহীনদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। আরও এক লাখ ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হবে শিগগিরই।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের মাধ্যমে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এসব আধা পাকা ঘর ও জমি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একসঙ্গে বাড়ি পেল দেশের ৪৯২ উপজেলার ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার খুব আকাঙ্খা ছিল নিজ হাতে জমির দলিল আমি আপনাদের হাতে তুলে দিব। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেটা পারলাম না। করোনা আমাদের জন্য অভিশাপ, আবার একদিকে আশীর্বাদও। তারপরও মনেকরি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পারার কারণেই আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি। বিশ্বের দরবারে আমরা বাঙালি হিসেবে যেন মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারি।
তিনি বলেন, যারা ঘরগুলো তৈরি করেছেন এবং এর সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঘরগুলো মান সম্মত করার জন্য আমার অফিস প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমনকি আমাদের দেশেও এত দ্রুত এতগুলো ঘর নির্মানের নজির নাই। এই শীতের মধ্যে তারা ঘরে থাকতে পারবে বলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকে আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন। গৃহহীন পরিবারকে গৃহ দিতে পারছি, এটি আমার সবচেয়ে আনন্দের। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।