×

সারাদেশ

তিন স্ত্রীকে নিয়ে আরেক স্ত্রীর জন্য ভোট প্রার্থনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৪ এএম

তিন স্ত্রীকে নিয়ে আরেক স্ত্রীর জন্য ভোট প্রার্থনা
৪ স্ত্রীর মধ্যে ৩ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেজ স্ত্রীর জন্য ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা এলাকার আব্দুস সামাদ মাস্টার। আর সতীনের জন্য ভোট চাইছেন ৩ স্ত্রী। বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মাজেদা বেগমের জন্য দিন-রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আব্দুস সামাদ মাস্টারের অপর স্ত্রীরা। এদিকে ৩ সতীন একই সঙ্গে ভোট চাওয়ায় বিষয়টি ভোটারদের মধ্যেও বেশ আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকজন ভোটার বলেন, বর্তমান সময়ে যখন সতীনদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না, তখন ১ সতীনের জয়ের জন্য আরো ৩ সতীন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভোট চাওয়ার বিষয়টি একটি ভালো দৃষ্টান্ত। পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ তার স্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। যে কোনো ১ স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয় সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগমই হবেন সেই প্রার্থী। এরপর সিদ্ধান্ত হয় জয় পেতে ৩ সতীন একসঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদা বেগম ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তারা ৩ সতীন মিনু বেগম, রেণু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আব্দুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত জয়ের আশায় ওয়ার্ডের এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে বেড়ান। বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার ফজলুর রহমান (৪৫) বলেন, সতীন মানেই যে খারাপ কিছু নয় তা আব্দুস সামাদের স্ত্রীরা প্রমাণ করেছেন। তাদের এই ৩ সতীনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী। মিনু বেগম বলেন, আমাদের আলাদা আলাদা হাঁড়ি। কিন্তু সবাই আপন বোনের মতো। শুধু ভোট নয়, সব সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে দাঁড়াই। মাজেদা বেগম বলেন, সতীন মানেই মনে করা হয় শত্রু। কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতীনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখব। আব্দুস সামাদ বলেন, আমার স্ত্রীদের নিয়ে আমি খুশি। তারা সব সমস্যাকে মিলেমিশে মানিয়ে নিতে পারে। আর তাদের এই মধুর সম্পর্কের কথা ভোটাররা জানতে পেরে সবাই অনেক খুশি। প্রসঙ্গত, আব্দুস সামাদের ৪ স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তবে এতে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং তিনি ছুটির দিনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি নির্বাচনী প্রচারে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। মাজেদা বেগম বর্তমানেও ওই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App