নওগাঁর রাণীনগরে এক নারীর অর্ধশত বছর ধরে দখলে থাকা খাস জায়গায় নির্মিত ঘর ভেঙে জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শুকবর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামে। অভিযোগকারী শিয়ালা গ্রামের সখিন উদ্দিনের স্ত্রী পারুল বিবি জানান, উপজেলার শিয়ালা মৌজায় ৮৮৬ দাগে ৫৫ শতক খাস জায়গা রয়েছে। ওই স্থানে গোয়াল ঘর নির্মান করে মাত্র ৫ শতক জায়গা ৫০/৬০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। এরই মধ্যে একই গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে শুকবর সরদার ৫৫ শতকের মধ্যে ২৫ শতক জায়গা সরকারের কাছ থেকে পত্তন নিয়েছে দাবি করে বৃহত জায়গা পরে থাকলেও তাকে উচ্ছেদ করতে নানা রকম কৌশল করে শুকবর হোসেন। এক পর্যায়ে গত ১২ জানুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে জোরপূর্বক ঘর ভেঙে দিয়ে জায়গা দখলে নিয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, ওই জায়গা দখলে নিতে এলাকার লোকজন নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছে শুকবর। সর্বশেষ গত ২৯ ডিসেম্বর এক বৈঠকে ওই জায়গার একপার্শ্বে আমাকে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে ওই ঘর ভাঙার কথা হয়। কিন্তু শুকবর হোসেন ও তার লোকজন আমাকে ঘর নির্মান করে না দিয়ে জোরপূর্বক আমার গোয়াল ঘর ভেঙে দিয়ে লোহার তারকাঁটার বেড়া দিয়ে জায়গা দখলে নিয়েছে। এতে তার প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রবিবার রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শুকবর হোসেন বলেন, প্রায় ৩৭ বছর আগে ৫৫ শতকের মধ্যে ২৫ শতক জায়গা সরকারের নিকট থেকে পত্তন নিয়েছি। স্থানীয় লোকজন যেভাবে আমাকে আপোষ করে দিয়েছে আমি সেভাবেই ওই নারীকে অন্যত্র ঘর তৈরি করে দিতে চেয়েছি। এর পরেও ওই নারী নেয়নি। ওই জায়গা নিয়ে আমি অনেক চাপের মধ্যে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঘর ভেঙে দিলে অন্তত পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেলে কিছুটা নিরাপদে থাকতে পারব এবং এর যেন সুষ্ঠু সমাধান হয় এমনটা ভেবেই ঘর ভেঙে দিয়েছি। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, ঘর ভাঙ্গার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।