×

সারাদেশ

প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা সত্ত্বেও অকটেন আমদানি!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:৫৫ পিএম

প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা সত্ত্বেও অকটেন আমদানি!

ফাইল ছবি

বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী মাসে ২৫ হাজার টন অকটেন ও ৩০ হাজার টন পেট্রল প্রয়োজন বাংলাদেশের। এ পরিমাণ অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন করতে দরকার প্রায় ৭৮ হাজার টন কনডেনসেট। এর বিপরীতে বাংলাদেশে বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড থেকে ৩৮ হাজার টন কনডেনসেট উৎপাদন হচ্ছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী অকটেন ও পেট্রল উৎপাদনে আরো প্রায় ৪০ হাজার টন কনডেনসেট প্রয়োজন। বর্তমানে এই চাহিদা পূরণে বিপুল পরিমাণ অকটেন আমদানি করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অকটেন আমদানি না করে, শুধু বিপিসির মাধ্যমে কনডেনসেট আমদানি করে সরকারি ও বেসরকারি প্লান্টগুলো পূর্ণমাত্রায় চালু রেখে সরকার মাসে সাশ্রয় করতে পারে প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকা। এই হিসাবে বছরে সাশ্রয় হতে পারে দেশের প্রায় ৪ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। একই সঙ্গে দেশের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ব্যারেল (১৫ লাখ ৯০ হাজার লিটার) কনডেনসেট উত্তোলিত হয়। এর মধ্যে শুধু সিলেট বিভাগের গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে উত্তোলিত হয় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ব্যারেল এবং বাকি ৫শ ব্যারেল উৎপাদিত হয় দেশের অন্য গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে। তবে তেলের মান ভালো নয় জানিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে উৎপাদিত পেট্রল বিপিসি ক্রয় না করায় এসব ফিল্ডের তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে পেট্রোবাংলার আওতাধীন সরকারি প্লান্টসমূহ এবং বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত ১১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে অকটেন আমদানি করতে হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি প্লান্টে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। রয়েছেন চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে।

বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত ৩টি অকটেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সুপার পেট্রোক্যামিকেল, পেট্রোম্যাক্স ও এক্যুয়া রিফাইনারি লি. এবং অন্য ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য কনডেনসেট আমদানি করা হলে একদিকে যেমন অকটেন আমদানি করতে হবে না; অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত

ফ্রাকশনেশন প্লান্টসমূহ চালিয়ে দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানোও সম্ভব। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। পেট্রল ও অকটেনের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় ৪০ হাজার টন কনডেনসেট প্রক্রিয়াজাত করার জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত প্লান্টসমূহের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, গ্যাস ফিল্ডগুলো আরওএন ৮৩ (৮৩ অকটেন নম্বর) নম্বরের পেট্রল উৎপাদন করে। বিএসটিআই বাজারে মান নির্ধারণ করে ৮৯ অকটেন নম্বরের পেট্রল। এই মান নির্ধারণ করার পরও পূর্বের আরওএন নম্বরের উৎপাদিত পেট্রল ক্রয় করে বিপিসি। সম্প্রতি উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে রিট হলে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের সব ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টের মতো সরকারি পর্যায়ের প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত তেল মানসম্মত নয় জানিয়ে সরকারি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয় বিপিসি।

বিপিসি পেট্রল না নেয়ায় আরপিজিসিএলের এনজিএল ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গোলাপগঞ্জ কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড থেকে উত্তোলিত অতি উচ্চমানের এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) প্রতিদিন কমবেশি ৪০০ ব্যারেল পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন এনজিএল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসজিএফএল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; অন্যদিকে আরপিজিসিএলও ও এলপিজি প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উৎকণ্ঠায় আছেন। এছাড়া মূল্য সংযোজন কর না পাওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সরকার।

তেলের মান উন্নয়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য করে গড়ে না তুলে পুরো উৎপাদন কার্যক্রমকে বন্ধ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছেড়ে দেয়ায় পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে পেট্রল ও অকটেনের চাহিদা ২০১৯ এর আগস্ট পর্যন্ত বিক্রিত পণ্যের তথ্য অনুযায়ী যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ২৫ হাজার টন এবং বর্তমানে গড়ে চাহিদা কমবেশি অনুরূপ রয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত কনডেনসেটের পরিমাণ ১ হাজার ২৭২ টন। সরকারি সেক্টরে বিদ্যামান (পেট্রোবাংলার আওতাধীন কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্ট ১ হাজার ৯৫ টন ও ইস্টার্ন রিফাইনারি ১৩৮ টন) ফ্রাকশনেশন প্লান্টের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২৩৩ টন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের পর কনডেনসেট অবশিষ্ট থাকে ৩৯ টন। কনডেনসেট বরাদ্দ নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী সরকারি ফ্রাকশনেশন প্লান্টে বরাদ্দের পর বেসরকারি প্লান্টে সরবরাহ করার কথা।

বর্তমানে পেট্রোবাংলার আওতাধীন ফ্রাকশনেশন প্লান্টসমূহের বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত বেশিরভাগ প্লান্ট বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশে উৎপাদিত কনডেনসেট ৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ইআরলকে দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কনডেনসেট থেকে আনুমানিক ২৬ হাজার টন পেট্রল/অকটেন তৈরি করছে। বাকি পেট্রল/অকটেনের চাহিদা ন্যাপথার সঙ্গে অকটেন ব্র্যান্ড করে পূরণ করা হচ্ছে। আমদানি করা বেশি দামের ন্যাপথার সঙ্গে ব্র্যান্ড করে পেট্রল হিসাবে বিক্রি করায় আর্থিক অপচয় হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার।

অথচ অকটেন আমদানি না করে বিপিসি কনডেনসেট আমদানি করে বেসরকারি কোম্পানিসমূহকে চাহিদা অনুযায়ী কনডেনসেট সরবরাহ করতে পারে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কনডেনসেট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে বরাদ্দ দিয়ে পেট্রল/অকটেন তৈরি করতে দিলে একদিকে সরকারি-বেসরকারি সব প্লান্ট পরিচালনা করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে সরকার অধিক মূল্যের অকটেন আমদানি না করায় আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

বিপিসি কর্তৃক কনডেনসেট আমদানি করে বেসরকারি কোম্পানিসমূহের নিকট বিক্রয় করা হলে একদিকে সরকারি অর্থ ব্যয়ে যেমন অকটেন আমদানি করতে হবে না। অন্যদিকে কনডেনসেট আমদানি করে তা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। প্রতি লিটার কনডেনসেটের আমদানি মূল ২০ টাকা এবং বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট কনডেনসেটের বিক্রয় মূল্য ৩৭ টাকা/লিটার। বেসরকারি প্লান্টের নিকট কনডেনসেট বিক্রয় বাবদ বিপিসি প্রতি মাসে আয় করতে পারবে ৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে কনডেনসেট আমদানি করে বেসরকারি অকটেন উৎপাদনকারী প্লান্ট ও সরকারি প্লান্ট পরিচালনা করা গেলে ২৫ হাজার টন অকটেন উৎপাদন হতে পারে- যা দিয়ে বাংলাদেশের অকটেনের চাহিদার সিংহভাগই মেটানো সম্ভব হবে। মাসিক ২৫ হাজার টন বা ৩৪৭২২২০০ লিটার অকটেন আমদানি করতে হবে না। ফলে অকটেন আমদানি না করায় সরকারের প্রায় ২০৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমদানিকৃত কনডেনসেট থেকে মাসিক ১২ হাজার টন বা ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৫ হাজার লিটার ডিজেল/কেরোসিন কম আমদানি করতে হবে। উক্ত পরিমাণ ডিজেল আমদানি না করায় সরকারের সাশ্রয় হবে ৪৬ কোটি টাকা। তাই বেসরকারি কোম্পানিকে দেশে উৎপাদিত কনডেনসেট বরাদ্দ না দিয়ে বিপিসির মাধ্যমে কনডেনসেট আমদানি করা হলে সরকারের মাসিক অর্থ সাশ্রয় হবে ৩৩৯ কোটি টাকা বা ৩ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার। বিপিসি পেট্রল না নেয়ায় আরপিজিসিএলের এনজিএল ফ্রাকশনেশন প্লান্ট বন্ধ থাকায় প্রতিদিন কমবেশি ৪০০ ব্যারেল এনজিএল পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন এসজিএফএল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে আরপিজিসিএলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া সরকার মূল্য সংযোজন কর বাবদ প্রাপ্ত অর্থ পাচ্ছে না। এতে সরকারের খাতে প্রায় ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব কম জমা হচ্ছে। উক্ত এনজিএল আরপিজিসিএল ফ্র্যাকশনেশন করে ৭০% পেট্রল ও ৩০% এলপিজি উৎপাদন করে । এনজিএল প্লান্ট থেকে পেট্রল না নেয়ায় আরপিজিসিএল ও এলপিজি প্লান্ট উভই বন্ধ রয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে এনজিএল ও এলপিজির বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আয় কম হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আরপিজিসিএল ও এলপিজি প্লান্ট বন্ধ থাকায় সরকারের ক্ষতি হচ্ছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ২ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার। এছাড়া পেট্রোবাংলার আওতাধীন দৈনিক ১০৯৫ বা মাসিক ৩২৮৫০ টন বা মাসিক ৪,১০,৬২,৫০০ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্ট বন্ধ থাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ততো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা হচ্ছে না। এতে সরকারের প্রায় ৩২ কোটি টাকা বা ৩৮ লাখ ইউএস ডলার রাজস্ব আয় কমে গিয়েছে।

এদিকে, জ্বালানি তেলের ব্যবসা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান গোলাপগঞ্জের আরপিজিসিএল ও এলপিজি প্ল্যান্ট বেসরকারি পরিচালনায় নিতেই এই অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে জানিয়ে ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

ইতোমধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্মচারী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এসজিএফএলের ২টি কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টের ফিড (কনডেনসেট) বরাদ্দ না দেয়ায় উৎপাদন বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট আর্থিক ও কারিগরি জটিলতা নিরসন এবং সরকারি-বেসরকারি প্ল্যান্টগুলো উৎপাদনে রেখে দেশের জ¦ালানি চাহিদা নিরবচ্ছিন্ন পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পেট্রলকে অকটেনে রূপান্তরের জন্য ক্যাটালাইটক রিফরমিং ইউনিট (সিআরইউ) স্বল্পতম সময়ের মধ্যে উৎপাদনে আসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন প্ল্যান্টটি কমিশনিং ও উৎপাদনে রাখার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ থাকা ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টগুলোতে কনডেনসেট বরাদ্দের মাধ্যমে সচল করা এবং বিপিসিকে আগের মতো উৎপাদিত পেট্রোলিয়াম পণ্য নেয়ার সিদ্ধান্ত জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্মচারী লীগ।

এ অবস্থায় কনডেনসেট আমদানি করে সরকারি-বেসরকারি প্লান্টসমূহ পরিচালনা করা হলে সরকারের মোট মাসিক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে ৪ কোটি ৩৮ লাখ ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় মাসিক ৩৭২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বর্তমানে পেট্রোবাংলার আওতাধীন সরকারি প্লান্টসমূহ এবং বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত ১১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে অকটেন আমদানি করতে হচ্ছে অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি প্লান্টে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ের প্লান্টসমূহ বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকৃত লোকবল চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের আয় কমে যাওয়ায় কোম্পানি আইনে প্রাপ্য লভ্যাংশ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে পরিবারের জীবনযাপন ব্যয় নির্বাহ করা দুরূহ হয়ে উঠেছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত ফ্রাকশনেশন প্লান্টের মালিকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিয়েছেন তা পরিশোধ করতে পারবেন না। পেট্রোবাংলার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে গ্যাস কূপ খনন কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ফ্রাকশনেশন প্লান্ট বন্ধ থাকায় কোম্পানি তার আয়ের একটি বিরাট অংশ থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে নতুন কূপ খননে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দেশের জ্বালানি খাতও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কনডেনসেট আমদানি করে সরকারি-বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্লান্টসমূহ পরিচালনা করলে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন গ্যাস কূপ খননে বিনিয়োগ করে দেশের জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App