×

সারাদেশ

কমলনগরে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে রমরমা সুদবানিজ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৩৬ পিএম

কোন ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই কমলনগর উপজেলার প্রতিটি বাজারে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা। সুদের ব্যবসা করে অনেকেই রাতারাতি কোটি পতি বনে গেছেন। সরেজমিনে দেখাগেছে, অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অলংকার তৈরীর নিজস্ব কোন সরঞ্জামাদি ও কারিগর না থাকলেও অলংকার তৈরির সাইন বোর্ড সাটিয়ে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা সুদবানিজ্য। শুধু তাই নয়, কিছু অসাধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রাহকদের সাথে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনা করছেন। বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা খাটিস্বর্ণ দিয়ে গহণা -তৈরীর নামে গ্রাহকদের দিচ্ছেন ভেজাল স্বর্ণ । এ নিয়ে গ্রাহকদের সাথে বাকবিতন্ডাও ঘটছে অহরহ।

জানা যায়, অনেক অসহায় মানুষ টাকার প্রয়োজনে স্বর্ণ বন্ধক রেখে টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা গ্রাহককে নিদিষ্ট সময় সীমা বেধে দেয়। আর নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহক সুদ-আসলসহ টাকা দিয়ে বন্ধুকী স্বর্ণ ছাড়াতে না পারলে ব্যবসায়ীরা গ্রাহককে আর বন্ধুকী স্বর্ণ ফেরৎ দিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ একাধিক।

আবার কিছু ব্যবসায়ী গ্রাহকের বন্ধুকি স্বর্ণ অন্য স্বর্ন ব্যবসায়ীর (মহাজন) কাছে দ্বীগুন টাকায় বন্ধক রাখাও নিয়মে পরিনত হয়েছে। এদিকে গ্রাহকরা বন্ধকী স্বর্ণ ছাড়িয়ে নিতে এলে তা মহাজনের লকারে রয়েছে জানিয়ে গড়িমসি করছে অসাধু এ চক্র। এতে চরমভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। তাছাড়া অসহায় মানুষের বন্ধুকী স্বর্ণ হাতিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানরা বলছেন স্বর্ণ কেনাবেচা বা যেকোনো ব্যবসায়ের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বন্ধকী ব্যবসার জন্য কোনো লাইন্সেস দেওয়া হয় না। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App