×

সারাদেশ

দুই মেয়র প্রার্থীর দ্বন্দ্বে দোকান ভাংচুর, ৬শ জনের নামে মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম

দুই মেয়র প্রার্থীর দ্বন্দ্বে দোকান ভাংচুর, ৬শ জনের নামে মামলা

দোকান ভাংচুর- ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাঘা আড়ানী আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আড়ানী বাজারের প্রায় ৩০টি দোকানে মালামাল লুটপাটসহ ভাংচুরে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের। সংঘর্ষের কারণে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে ব্যবসা থেকে বিরত আছে।

বাজারের পাশের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সৈতন্য বলে, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষ, গুলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়নি। যখন হামলা চালানো হয়, তখন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা দৌড়াদৌড়ি করে যে যার মতো পালিয়ে যায়। এরপর ভয়ে সকালেও আর কেউ বাজারে আসেনি। ওই বাজারের ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, সবজি দোকানের অন্তত ৩০ হাজার টাকার মালামাল তছনছ করে দিয়েছে হামলাকারীরা। বাজারের ভিতরে তখনো কয়েকটি বিস্ফোরিত ককটেল পড়ে ছিলো। ২টি নির্বাচনী অফিসে ভাংচুরকৃত মালামালও পড়েছিলো।

এই সংঘর্ষের বিষয়ে মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শাহিদ ভোরের কাগজকে বলেন, তাঁর নির্বাচনী পথসভা শেষেই বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর কর্মী-সমর্থকরা অতর্কিত হামলা করে শাহিদের নির্বাচনী অফিসসহ দোকানপাট ভাংচুর চালাতে থাকে। এসময় বাধা দিতে গেলে তার লোকজন শাহিদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোঠা, পিস্তল ও ককটেল নিয়ে হামলা করে। হামলায় শাহিদের অন্তত ৩০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে পুঠিয়া থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

পাল্টা অভিযোগ করে মুক্তার আলী বলেন, শাহিদের লোকজনই আগে মুক্তারের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে। তাতে মুক্তারের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। অফিস থেকে সাড়ে ২২ লাখ টাকাও লুট করে নিয়ে যায় শাহিদের লোকজন। এছাড়াও বাজারের দোকানপাটও ভাংচুর করা হয়। হামলায় মুক্তারের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে শাহিদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে বাঘা থানায় বিস্ফোরক আইনে ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অন্তত ৬০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলায় বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র মুক্তার আলীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মুক্তারের পক্ষেও একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App