ট্রাম্পক্যু ভেস্তে যায়নি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৫২ পিএম
যে বল বাউন্স করে আমার চোখে লাগতে পারে
আমি সে বলকে ভয় পাই
টয়লেট থেকে বেরিয়ে আসা সাপকে ভয় পাই
আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভক্তদের ভয় পাই
আমি সরকারের ষড়যন্ত্রকে ভয় পাই
আমি অস্তিত্বকে ভয় পাই
আমি অনস্তিত্বকে ভয় পাই
আমি পুতুল ভয় পাই
নাক দিয়ে সর্দি ঝরা শিশুদের ভয় পাই
আমি উন্মাদ ট্রাম্পকে ভয় পাই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এ ধরনের বহু কবিতা আমেরিকার সাহিত্যে যোগ হয়েছে, নতুন শব্দও যোগ হয়েছে। যেমন ট্রাম্পিগো, এর মানে ট্রাম্পের ইগো। হালে যোগ হলো ট্রাম্পক্যু, ট্রাম্পের অভ্যুত্থান।
কোনো এক বাবার মৃত্যুর পর ছেলে ভেউ ভেউ করে বিলাপ করছে আর বলছে, বাবা তুমি এই সর্বনাশটা কেন করলে? শুভানুধ্যায়ীরা এসে সান্ত¡না দেয়, সত্যিই তো, বাবার মৃত্যু ছেলের জন্য সর্বনাশ নয় তো কী!
ছেলে বলল ভিন্ন কথা, বাবা মরেছে মরুন, কিন্তু বাবার খোঁজে এ পর্যন্ত এসে আজরাইল যে বাড়িটা চিনে গেল, কাঁদছি সে জন্য।
ট্রাম্প অভিশংসিত হলেন না গুড বাই বলে বিদায় নিলেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। তিনি যে আগামী দিনের ঘাতকদের যে ক্যাপিটল হিল চিনিয়ে দিয়ে গেলেন, চিন্তা বরং সেখানেই।
৬ জানুয়ারি ২০২১ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল (দ্য ইউএস ক্যাপিটল) যেভাবে অবরুদ্ধ ও তছনছ হলো তাতে এশিয়া ও আফ্রিকার বর্বর আচরণের দেশগুলোরও লজ্জা পাওয়ার কথা। তারপরও আশার কথা যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বা সেনাবাহিনী ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেনি। পুলিশ সদস্যদের দু’একজনকে ক্যাপিটল স্টর্মারের আচরণ করতে দেখা গেলেও, সন্দেহ নেই পুলিশই তাদের প্রতিহত করেছে। ট্রাম্পের আহ্বান করা বাজে ও দুর্বল পরিকল্পনার একটি অভ্যুত্থান আপাতত ব্যর্থ হয়েছে।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পাঠ নেয়া আমার একজন সুহৃদের কাছে সেখানকার দুটি রাস্তার নাম শুনে এতটাই অভিভূত হয়েছিলাম যে প্রথম সুযোগেই রাস্তা দেখতে বেরিয়েছিলাম। একটি রাস্তার নাম কনস্টিটিউশন অ্যাভেনিউ, অন্যটির নাম ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যাভেনিউÑ সংবিধান সরণি আর স্বাধীনতা সরণি। দু’পাশ দিয়ে দুই দীঘল রাস্তা চলে গেছে, মাঝখানে ইউনাইটেড স্টেটস ক্যাপিটলÑ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ভবন; ক্যাপিটল অধিবৃত্তর মতো ঘিরে রেখেছে নর্থওয়েস্ট ও সাউথওয়েস্ট ড্রাইভ। সুতরাং দৃশ্যের ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট আমি ভিসুয়ালাইজ করতে পারছিলাম। আরো অনেকের মতো আমারও মনে হয়েছে এর নামই রেইপ অব কনস্টিটিউশন, রেইপ অব ডেমোক্রেসি, রেইপ অব ইন্ডিপেন্ডেন্স। তবে এই প্রক্রিয়াটি আকস্মিক নয়, গত চার বছর ধরে এর প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এশীয় অভিবাসী আমেরিকানদের যত উচ্ছ্বাসই থাকুক না কেন, তিনি ছিলেন দুর্বল প্রার্থী। আগে থেকেই কাজের মানুষ হিসেবে চিহ্নিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ঠেকানো যাবে না সে কথাও লিখেছিলাম। গত এক দশক ধরে অপেক্ষাকৃত মন্দজনকে নির্র্বাচিত ও ক্ষমতাসীন করার একটি বৈশি^ক ধারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন।
সেনা সক্রিয়তায় হোক কি মৌন সেনা সমর্থনে ঘটুক সনাতন ক্যু ঘটে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। ক্ষমতাসীন থেকে ক্ষমতা ধরে রাখার বিভিন্ন ধরনের কৌশলী ক্যুর সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও এশীয় ও আফ্রিকান অভিজ্ঞতা হওয়ার প্রয়োজন সম্ভবত ছিল। সুতরাং আপাতত ব্যর্থ মনে হলেও তারা একটি সিভিলিয়ান ক্যু ঘটাতে চেষ্টা করেছে। ক্যাপিটল হিল যারা তছতছ করেছে, স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির চেয়ার দখল করেছে তাদের সবাইকেই লুটেরা বদমাশ মনে করার কারণ নেই। যারা মনোযোগ দিয়ে টেলিভিশনের জন্য ধারণ করা দৃশ্যগুলো দেখেছেন তারা অংশগ্রহণকারীদের কাউকে কাউকে বলতে শুনেছেন, ইটস অ্যা রেভ্যুলুশন। এটা একটা বিপ্লব এবং তারা বিপ্লবী। এটি সদ্য শেখানো কথা হিসেবে তারা বলেননি, যৌক্তিকতার নিরিখে না হলেও বিশ^াস থেকেই তারা বলেছেন। এটা এটা বিপ্লব। মিথ্যে হলেও এই বোধ যখন মনে গেঁথে যায়, নসিহত করে তা দূর করার সম্ভাবনা খুবই কম। আমি মনে করি না ক্যাপিটল হিলে জোর খাটিয়ে প্রবেশ করা ধ্বংসে মেতে ওঠা ‘বিপ্লবীদের’ বিপ্লব এমনিতেই মিলিয়ে যাবে।
১৯১৭-এর পরে বিপ্লব রপ্তানিযোগ্য আদর্শ ও পদ্ধতি হয়ে উঠেছিল। সেই রপ্তানির বামধারা ডান হাতে ধারণ করে বিপ্লবের বারোটা আমরাও বাজিয়েছি। মার্কিন স্পিকারের চেয়ারে পা উঁচিয়ে বসা দুর্বিনীত যুবককে যত বেয়াদবই মনে হোক আমি স্মরণ করেছি আমদের ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীকে, আমাদের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮ তাকে সংসদের ভেতরেই সংসদের চেয়ার ছুড়ে হত্যা করেছেন। বাষট্টি বছর পর ট্রাম্প-বিপ্লবীদের দুর্ভাগ্য স্পিকার ৮০ বছর বয়সি ন্যান্সি পেলোসিকে তার চেয়ারে পায়নি, পেলে হয়তো বলা যেত আমাদের অনুসরণ করেছে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই আমেরিকার সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন সমর্থনে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত কবে কোথায় সেনাবাহিনীর বড় কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এটাও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়Ñ দেশে কিছু ঘটতে যাচ্ছে না তো! প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিসের সফরগুলো খুব আগের কথা নয়। ক্যাপিটল হিল স্টর্মিংয়ের পর এক বাক্যের একটি বার্তা অনেকেই পেয়েছেন : কোভিডের কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র এবার নিজ দেশেই অভ্যুত্থানের আয়োজন করেছে।
আরো একটি সচিত্র ক্লিপও এসেছে। উত্তর কোরিয়ার পাগলাটে প্রেসিডেন্ট কিম জন-উন চোখে দুরবিন লাগিয়ে দূরের কিছু দেখছেন আর আদেশ দিচ্ছেন, আমাদের সৈন্যদের ফিরে আসতে বলো; ট্রাম্প নিজেই আমেরিকা ধ্বংস করে ফেলছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম ১০০ দিনের ইমেজ বিল্ডিং কর্মসূচিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের যে ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং আমেরিকার জনগণকে যেভাবে আঘাত করেছেন তার একটি তালিকা তখনই তৈরি করে প্রকাশ করেছিল সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেস। সেই তালিকার নাম হতে পারত ১০০ দিনে ১০০ অপকর্ম। সেই শত তালিকা থেকে কয়েকটি কেবল উপস্থাপন করছি :
১. অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট বাতিল করে ২৪ মিলিয়ন আমেরিকানের স্বাস্থ্য বিমা প্রত্যাহার আর নিজের ২ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স মওকুফ।
২. চেয়ারে বসার প্রথম দিন নতুন বাড়ি ক্রেতার কর বাড়িয়েছেন ৫০০ ডলার।
৩. ন্যায্য বেতন ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের নির্বাহী আদেশ বাতিল।
৪. ফেডারেল চাকরিতে বয়স্কদের নিয়োগ স্থগিত।
৫. গ্রামীণ কর্মসংস্থান, গৃহায়ন, অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বাজেট সঙ্কোচন।
৬. প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী তার ট্যাক্স রিটার্নের বিবরণ জানাতে অস্বীকার।
৭. ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উন্নয়নের তহবিল সঙ্কোচন।
৮. প্রাকৃতিক দূষণ হ্রাসকরণে অস্বীকৃতি, ওজোনস্তর হ্রাস অননুমোদন।
৯. ঘুষবিরোধী আইন বাতিল।
১০. ফেডারেল কয়লা উত্তোলন কর্মসূচি মূল্যায়ন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান।
১১. লো-ইনকাম হোম এনার্জি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের বাজেট কর্তন ৫৭ লাখ নিম্ন আয়ের নাগরিককে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
১২. অবৈধ অভিবাসী ডিপোটেশন কর্মসূচি অগ্রাধিকার তালিকায় আনয়ন।
১৩. ক্রিটিক্যাল কমিউনিটি সেইফটি ফান্ডিং প্রত্যাহারের হুমকি।
১৪. মুসলমানদের ব্যাপারে অসাংবিধানিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
১৫. পলাতক অপরাধীদের মারণাস্ত্র বেশ সহজতর করে দেয়া হয়।
১৬. বার্ষিক ৪০ লাখ ভোক্তার পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মশাসন সহায়তা প্রদানকারী এক-ফান্ডিং প্রত্যাহার।
১৭. প্লানড পেরেটহুডের জন্য বরাদ্দ বাতিল। এতে সেবাগ্রহীতা ২৫ লাখ মানুষ বঞ্চিত হবে।
১৮. শিক্ষার্থী সহযোগিতা ফান্ড সংকোচন, আফটার-স্কুল কর্মসূচির তহবিল বাতিল।
১৯. ‘নিউক্লিয়ার অপশন’ পাস করানোর জন্য সিনেটে চাপ।
২০. আদালতে বৈধতা খাটো করতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের বিরুদ্ধে মতামত প্রদান।
২১. বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও নির্বাহী আদেশে বর্ণবাদ সমর্থন।
২২. ইসলামি স্টেটসের কাছে আমেরিকাকে আরো বিপন্নভাবে উপস্থাপন করা।
২৩. জিকা ও ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, এই রোগকে তাচ্ছিল্য করে দেশবাসীকে মৃত্যু-ঝুঁকিতে ঠেলে দেয়া।
২৪. মার্কিন সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে গুরুত্ব না দেয়া।
২৫. চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ভারসাম্য সৃষ্টি প্রস্তাব উপেক্ষা করা।
প্রথম ১০০ দিনের ১০০টি আঘাতের ২৫টি উল্লেখ করা হয়েছে; তারপর একই ধারায় পার হলো প্রায় চার বছর; বিশ্বব্যাধি করোনা ভাইরাস আমেরিকার মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুর্বলতা পৃথিবীর সামনে প্রকাশ করে দিল- তার করোনা মৃত্যুর অনিয়ন্ত্রিত মিছিলের দায় ট্রাম্পের উপেক্ষার কারণে- এ কথা বলার পরও ট্রাম্পের ভোট খুব একটা কমেছে মনে করার কারণ নেই। ডেমোক্র্যাটদের বিজয় ‘কনভিনসিং’ নয় বলেই ট্রাম্প এশীয় ধাঁচের অভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখতে পেরেছেন। আমেরিকা গত ১০০ বছরের সবচেয়ে বড় দানব রাষ্ট্রপতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে- এটা খুব জোর দিয়ে বলার সুযোগ কম।
জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান নেতা, সে দেশের ফাউন্ডার ফাদার এবং টানা ৩৭ বছরের একচ্ছত্র দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক সদ্য প্রয়াত রবার্ট মুগাবের- ‘যদি টাইম মেশিনে সময়ের ভেতর দিয়ে সফর করতে পারতাম আমি, তাহলে ১৯৪৬ সালে ফিরে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাবাকে খুঁজে বের করে তাকে একটি কনডম দিতাম যেন এমন একটি দানবের জন্ম না হয়।’
১৯৪৬ সালে রবার্ট মুগাবের বয়স ২২ বছর আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাবা ফ্রেডরিক ক্রাইস্ট ট্রাম্পের তখন ৪১ বছর। সে সময় দারিদ্র্যপীড়িত মুগাবে পড়াশোনাও করছেন আবার জাম্বিয়া ও ঘানার স্কুলেও পড়াচ্ছেন। সে সময় তিনিও ভাবেননি বিংশ-একবিংশ শতকের দীর্ঘ সময়ের পরাক্রান্ত শাসকদের একজন হবেন। আর ফ্রেডরিক ট্রাম্প যদি সদ্যোজাত ছেলেকে নিয়ে ভেবেও থাকেন তার জন্য রিয়েল এস্টেট ব্যবসাই নিয়তি নির্ধারিত বলে ধরে রেখেছেন।
‘ম্যালিগন্যান্ট, নার্সিসিস্ট অটোক্র্যাট’ ডোনাল্ড ট্রাম্প চার বছরে আমেরিকার অনেক ক্ষতি করেছেন, আমেরিকানদের হাস্যকর এবং চীনের করুণার পাত্রে পরিণত করেছেন।
বহু বছর আগের একটি রুশ-মার্কিন কৌতুক স্মরণ করছি। শীর্ষ সামিটে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি রুশ প্রতিপক্ষ নিকিতা ক্রুশ্চেভকে বলছেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম ক্রেমলিন প্রাসাদে আমেরিকার পতাকা উড়ছে। ক্রুশ্চেভ বললেন, আমি স্বপ্নে দেখেছি হোয়াইট হাউসে একটি ব্যানার উড়ছে।
কেনেডি জিজ্ঞেস করলেন, তাতে কী লিখা?
ক্রুশ্চেভ বললেন, দুঃখিত আমি তো চাইনিজ পড়তে শিখিনি।
চার বছরে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ^জুড়ে গণতন্ত্রের জন্য একটি সর্বনাশা বার্তা দিয়ে গেলেন ট্রাম্প; পৃথিবীর সব ক্যাপিটল হিলেই ক্যু আসন্ন। নিশ্চয়ই শুনেছেন, এর পরও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার দাবি রাখেন। কাজেই ট্রাম্পক্যু ভেস্তে যায়নি।
ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।