×

সারাদেশ

কে হতে যাচ্ছেন পৌর পিতা?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম

কে হতে যাচ্ছেন পৌর পিতা?

প্রচার প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচন। মাইকিং, পোস্টারিং ও ব্যানার ফেস্টুনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ সকল প্রার্থীর প্রচার প্রচরণা এখন তুঙ্গে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় ধীরগতি থাকলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।

সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- পৌর নির্বাচন ঘিরে দলমনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলীর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের (নারিকেল গাছ) সমান তালে এগিয়ে চলছে। কে হবেন পৌর পিতা তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ভোটারদের মাঝে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন- বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু উপজেলা আ’লীগের টানা ১৮ বছরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এবং পর পর দুইবার আ’লীগ থেকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর জীবনে উন্নয়নের নতুনমাত্রা যোগ করেছেন মেয়র শাহনেওয়াজ। তাই তৃতীয়বারও শাহনেওয়াজ আলীর ওপরেই আস্থা রেখেছে দলের উচ্চ পর্যায়।

এদিকে নানা প্রতি শ্রুতি ও দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে নেই আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লবও। দলের সবুজ সংকেত না পেলেও বিদ্রোহী হিসাবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন বিপ্লব। নির্বাচনী মাঠে এই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আ’লীগ এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যদিও নৌকার পক্ষে অবস্থান করছেন আ’লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর তথ্যমতে মূল লড়াই হবে আ.লীগ প্রার্থী শাহনেওয়াজ এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের মধ্যেই।

এদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এড. আজমুল হক বুলবুল (ধানের শীষ)। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন দলীয় মনোনয়ন চাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে (মোবাইল ফোন) নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ডা. মোহাম্মদ আলী (জগ), আব্দুস সালাম রনি (ক্যারাম বোর্ড) নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দ্বিতীয়ধাপে এই নির্বাচনে ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে রির্টানিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী এড. আজমুল হক বুলবুল বলেন- তাদের দলে কোনো কোন্দল নেই। দল তার ওপর আস্থা রেয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন।

স্বতন্ত্র প্রাথী আমজাদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন- প্রচার প্রচারণায় তাদের কোনো বাধা নেই। দলমত নির্বিশেষে তারা ভোট পাবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণ হলে তারা নির্বাচিত হবেন।

স্থানীয় সূত্র বলছে- নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভাংচুর, পোস্টার  ছেড়া, পোস্টারের ওপর পোস্টার লাগানোসহ বিভিন্নভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন কোনো কোনো প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে রেষারেষি চলছে বেশী। যেকোন সময় এই কলহ সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।

বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব বলেন- আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং আমার কর্মীদের মারধরের অভিযোগও করেন তিনি।

নৌকার প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলী বলেন- দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় পৌর আ’লীগের পদ থেকে বিপ্লবকে অব্যাহতি দিতে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব গায়ে পড়ে কোন্দল সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। পৌরবাসী টানা দুই বার মেয়র নির্বাচিত করেছে। এবারও জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন- নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য দিন রাত সমান তালে তারা মাঠে কাজ করছেন। গায়ের জোরে ভোট করার কোন সুযোগ নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App