×

অর্থনীতি

কোটিপতি বাড়লেই আয়বৈষম্য বলা যাবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৪৭ এএম

কোটিপতি বাড়লেই আয়বৈষম্য বলা যাবে না

ড. নাজনীন আহমেদ সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআইডিএস

আয় বৈষম্য দেশের উন্নয়নের যে মান সেটিকে কমিয়ে দেয়। এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে দেশের নানা কিছুর মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত এক যুগে কোটিপতি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ গুণের বেশি। করোনার সময়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এবং অনেক মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। সেই দরিদ্রদের কেউ কেউ তার জীবিকায় ফিরতে পেরেছেন। তবে অনেকেই এখন পর্যন্ত তার স্বাভাবিক জীবিকায় ফিরতে পারেননি। সেই কারণেই করোনাকালীন সময়ে আয় বৈষম্য বাড়ছে। শুধু ধনীর সংখ্যাই না, মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে এ সময়ে। তবে এ মুহূর্তে বলা যাবে না যে, আয়বৈষম্য বেড়েছে। এটা ঠিক ধনীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি দারিদ্র্যের সংখ্যাও বেড়েছে। করোনাকালে কিছু মানুষের যেমন আয় কমেছে, তেমনি এ সময়ে কিছু মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ও বেড়েছে। সে হয়ত এ সময়ে ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করছে কিংবা মুদি দোকানদার চালিয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে আয় বৈষম্য কেমন হবে তা পরবর্তীতে দেখা যাবে। কারণ কিছু কোটিপতির সংখ্যা বাড়লেই আয় বৈষম্য বাড়বে একথা বলতে পারব না। আমাদের প্রধান ভাবনার বিষয় হচ্ছে, মানুষ যে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, সেটা সামাল দেয়া। এমনিতেই আমাদের দেশে ২০ শতাংশ বা প্রায় চার কোটির কাছাকাছি মানুষ দরিদ্র। এরমধ্যে নতুন করে দরিদ্রতার সংখ্যা যুক্ত হয়েছে। সুতরাং সেই মানুষের আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এর একটা উপায় হচ্ছে, আমাদের অর্থনীতিতে যারা বিত্তশালী, যাদের সঙ্গে দরিদ্রদের আয়বৈষম্য সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেড়েছে, সেই বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। ধনীদের কাছ থেকে ঠিকমতো রাজস্ব আদায় করে সেই রাজস্ব আয়ের অর্থ দরিদ্র মানুষের কল্যাণে লাগাতে হবে। যেমন তাদের কর্মসংস্থান করা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষায় সুযোগ, অতিদরিদ্রদের কাছে সামাজির সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমেও অর্থ যেতে হবে। আমাদের সেই বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App