×

সারাদেশ

আ.লীগ ও বিদ্রোহী মুখোমুখি, বাঘায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:২১ পিএম

আ.লীগ ও বিদ্রোহী মুখোমুখি, বাঘায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা
রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভা মেয়র বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর (পৌর আওয়ামী লীগের সাংঘটনিক সম্পাদক) সমর্থকরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তালতলা বাজারের উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে দুই প্রার্থীর প্রায় তিনহাজার সমর্থক সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় আড়ানী পৌর সদরের তালতলা বাজারে আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী শহিদুজ্জামান শাহিদের পথসভায় গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী এবং ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটেছে। আড়ানী পৌরসভার তালতলা বাজারে শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুট হয়েছে। মুক্তারের সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহিদের ভাগ্নে তুষার (২৮) আহত হয়েছেন। তাকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে নয়টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শাহিদের পথসভার প্রায় শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র সমর্থক আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় মুক্তার আলীসহ তার সমর্থকরা গুলিবর্ষণ শুরু করে এবং বোমা হামলা চালায়। প্রাণের ভয়ে এসময় শাহিদের সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুক্তার মাইকিং করে তার সমর্থকদের ডাকেন। শাহিদসহ উপস্থিত নেতাকর্মীরা এসময় সংগঠিত হয়ে মুক্তারের সমর্থকদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ওই সময় মুক্তারের প্রায় ৫শতাধিক সমর্থক ঘচনাস্থলে উপস্থিত হয়। এদের মধ্যে সশস্ত্র কয়েকজন সমর্থকক গুলিবর্ষণ শুরু করে। বোমা হামলা চালায়। দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাহিদের সমর্থকদের তাড়া করে। মুক্তারের সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসময় শাহিদের ভাগ্নে তুষার আহত হন। একপর্যায়ে মুক্তারের সমর্থকরা সেখানে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় এবং মেয়র প্রার্থী শাহিদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া শতাধিক দোকানে লুট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ৮ তারিখে আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মুক্তারের সমর্থকরা মাছরাঙা টেলিভিশন রাজশাহীর ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান রুবেল এবং দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এসময় রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুনসহ তার সমর্থকদের ওপরও হামলা চালায় মুক্তারের সমর্থকরা। মুক্তার বর্তমানে আড়ানী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধী করছেন। সার্বিক বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে জানান, ইতোপূর্বে সাংবাদিকদের উপরে হামলা ঘটনায় মিলন নামে একজনকে অভিযুক্তকে আটক করে বিজ্ঞ আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রাতের ক্ষটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে খুব শিগ্রই অপরাধিদের আটক করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App