×

খেলা

অনুশীলনে উচ্ছ্বসিত ক্যারিবীয়রা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:৩৯ পিএম

অনুশীলনে উচ্ছ্বসিত ক্যারিবীয়রা

বেশ ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলন করে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। আজ হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে অনুশীলন করেছে সফরকারীরা। করোনাকালে ১০ মাস পর বাংলাদেশের মাঠে প্রথম বিদেশি দল হিসেবে উইন্ডিজরা অনুশীলন করেছে। এ দিন অনুশীলনে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন ক্যারিবীয় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফরা। এককথায় বলা যায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।

দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড বাংলাদেশ সফরে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের চিঠি লিখে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তার এই বিশেষ চিঠি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রিকি স্কেরিটের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এদিকে মিরপুরে মাঠের যে অংশে নেট টাঙানো সেখানে নিবিড় অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল, রোচ ও জোসেফ। হেড কোচ ফিল সিমন্স ছিলেন থ্রোয়ারের ভূমিকায়। আর মাঠের সেন্টার উইকেটে বল হাতে শান দিয়েছেন স্পিনাররা।

আজ অনুশীলন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ বলেন, অবশ্যই আমরা সিরিজ জিততে চাই এবং ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেই এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সিরিজ জিততে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং ৩ বিভাগই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করব যতটা সম্ভব তিন বিভাগে ধারাবাহিক থাকা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশে এসে ৩ দিনের আইসোলেশন কঠিন ছিল। তবে এখন বাইরের খোলা বাতাসে অনুশীলন করে খুবই ভালো লাগছে।

এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ক্লাইভ লয়েডের অবদান সারা ক্রিকেট বিশ্ব জানেন। সতীর্থ খেলোয়াড় নার্সের ইনজুরিতে ম্যাচ শুরুর ৪৫ মিনিট আগে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন উন্ডিজের কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড। ১৯৬৬ সালে ভারত সফরের সেই ম্যাচের সময় তার বয়স ছিল ২২। সেই কন্ডিশনে অভিষেক ম্যাচের ২ ইনিংসে ৮২ ও ৭৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিততে সাহায্য করেন ক্লাইভ লয়েড। পরে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন আরো ১৯ বছর। দীর্ঘ এ ক্যারিয়ারে নিজেকে নিয়ে গেছেন ক্রিকেট কিংবদন্তিদের স্থানে। অনভিজ্ঞ এক দলকে নিয়ে বানিয়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা দল।

বাংলাদেশে সফরে থাকা উত্তরসূরিদের সাহস জুগিয়ে ক্লাইভ লয়েড চিঠিতে লিখেছেন, প্রিয় ছেলেরা আমি ভাবলাম এই বার্তাটা পাঠাই। তোমরা এখন যে অবস্থায় আছ, এমন অবস্থায় আমিও ছিলাম। তোমরা এমন সফরের জন্য প্রস্তুত ছিলে না। হয়তো ভাবছ তোমাদের গভীর কূপে ফেলে দেয়া হয়েছে এবং সেখান থেকেই তোমাদের উঠতে হবে। তোমাদের বোঝা উচিত যে এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে জায়গা পাকা করার জন্য ভালো সুযোগ। এটাই বিশ্বকে নিজেদের প্রতিভা ও দক্ষতা দেখানোর আদর্শ সুযোগ। তোমরা যে দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড় নও, তা প্রমাণের এটাই সুযোগ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্লেজার ও টুপি পরা গর্বের ব্যাপার। সবশেষে বলি, সাফল্য কাজের আগে আসে কেবল অভিধানে। তোমাদের জন্য আমার শুভ কামনা। মনে রেখ, বেশির ভাগ মানুষকে বিচার করা হয় তারা যে বাধা পেরিয়ে এসেছে তার ভিত্তিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App