পরকীয়ার টানে প্রবাসীরর স্ত্রী আত্মগোপনে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:১৭ পিএম
মারজিয়া বেগম। ছবি: প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পরকীয়ার টানে প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মারজিয়া বেগম আত্মগোপনে আছেন, এই বিষয়ে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তোভুগী প্রবাসীর পরিবার। প্রবাসী কাউসার আলী ও মারজিয়া বেগম দম্পতির ঘরে ১০ বছর বয়সের ছেলে আল হোসাইন এবং হুমায়রা ইসলাম কারিমা নামের ৩ বছর বয়সের কন্যা রয়েছে।
প্রবাসী কাওয়ার আলীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে উপজেলার মাঝার দিয়া ইউনিয়নের কাগদি গ্রামের আ. বারিক মাতুব্বরের ছেলে কাউসার আলীর সঙ্গে একই এলাকা কাগদির (বাতাগ্রাম) সাহেব আলী মীরের কন্যা মারজিয়া বেগমের বিয়ে হয়। উন্নত জীবনের লক্ষ নিয়ে কাউসার আলী গেল ১ বছর ২ মাস আগে সৌদি আরব পাড়ি জমায়, সেখানে থেকে কষ্ট করে নিয়মিত মারাজিয়া বেগমের কাছে নতুন ঘর দেয়ার জন্য টাকা পাঠায়। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে থাকাকালীন অবস্থায় মারজিয়া বেগম হৃদয় মিয়া নামক এক যুবকের সাথে পরকীয়া সমপর্কে জড়িয়ে পড়ে।
মারজিয়া বেগম প্রেমের টানে গোপনে স্বামীকে গতবছর ৭ই আগষ্ট তালাক দেয়, তালাক দেওয়ার পরে স্বামীর বাড়িতে ফিরে এসে কৌশলে স্বামীর পাঠানো টাকা পয়শা ও দামী গহনা হাতিয়ে নেয় এবং কাউসার আলীর একটি গাভী বাবার বাড়িতে বরগা পালনের কথা বলে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেও বাবার বাড়ি গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, কাউসার আলীর পরিবার মারজিয়া বেগমকে আনতে গেলে সে কারো সঙ্গে দেখা না করে টালবাহানা করে, এই বিষয়ে কাউসার আলীর পরিবার স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে গেলে জানতে পারে মারজিয়া বেগম কাউসার আলীকে তালাক দিয়েছে এবং ছোট মেয়ে হুমায়রা ইসলাম কারিমা কে নিয়ে পরকীয়ার টানে বাবার বাড়ি থেকে পলায়ন করে হৃদয় মিয়াকে গেল ৭ ডিসেম্বর বিয়ে করে আত্মগোপনে আছেন। হৃদয় মিয়া নগরকান্দা থানার গজারিয়া এলাকার নুরুল ইসলাম মিয়ার পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
মারজিয়া বেগমের বাবার বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় মারজিয়া বেগম মামার বাড়িতে আছে এবং টাকা পায়শা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করে। কাউসার আলীর পরিবার থেকে জানায়, মারজিয়া যেহেতু পরকীয়ার টানে ঘর ছেড়েছে তাই মেয়ে হুমায়রা ইসলাম কারিমা ও দামী গহনা, টাকা পয়সা এবং গাভী ফেরত চাই এবং টাকা পয়সা, দামি গহনা আত্মসাৎ ও পরকীয়া করার কারণে মারজিয়া বেগমের শাস্তি দাবি করছি।
এই বিষয়ে সালথা থানার এসআই রিজাউল করিম বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ১ কন্যা সন্তানসহ টাকা পয়সা ও দামি গহনা নিয়ে আত্মগোপনে আছে এই মর্মে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দেখা গেছে মারজিয়া বেগম কাউসার আলীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে এবং মারজিয়া বেগমরে বাবার বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।