সাংঘাতিক ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে তৈরী হচ্ছিল চকলেট
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:২৯ পিএম
শিশু খাদ্য হিসেবে অতিপরিচিত চকলেট তৈরীতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো উপাদান হিসেবে যা ব্যবহার করছিল রিতীমত তা শিউরে ওঠার মত। মানব দেহের জন্য সাংঘাতিক ক্ষতিকর হাইড্রোজ, প্যারাসিন, ফ্লেভার, মোম ও কারখানার রং অর্থাৎ চকলেট তৈরী করা হচ্ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ পণ্য দিয়ে। এমতাবস্থায় রাজধানীর পুরান ঢাকার কামালবাগের ৪টি প্রতিষ্ঠানের ৭ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে র্যাব বাদী হয়ে মামলা করেছে।
চকবাজার থানাধীন কামালবাগ এলাকায় ৪টি চকলেটের কারখানায় বুধবার দুপুরে অভিযান শেষে এসব কথা বলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি বলেন, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ ও র্যাব-৩ এর সহায়তায় বুধবার অভিযান চালানো হয়। এ সময় দেখা যায় মানব দেহের জন্য সাংঘাতিক ক্ষতিকর হাইড্রোজ, প্যারাসিন, ফ্লেভার, মোম, গ্লুকোজ ও কারখানার রং ব্যবহার করে শিশু খাদ্য চকলেট তৈরী করছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও এসব চকলেটকে মালেয়শিয়া ও থাইল্যান্ডের বিদেশী চকলেট বলেও বাজারজাত করছিল তারা। তিনি আরো বলেন প্রতিষ্ঠানগুলোর তেমন কোন নাম নেই, আরো নেই বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের অনুমতি। চকলেটে প্যারাসিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে যা প্রসাধনী তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। চুলের তেল তৈরীতে সাধারণত প্যারাসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্যবহার করা হচ্ছিল হাইড্রোজ ক্যামিকেল, লেবেল বিহীন কারখানার রং ও ফ্লেভার। এছাড়াও চকলেট শক্ত রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছিল মোমবাতি। গ্লুকোজও ছিল নোংরা ঢাকনা বিহীন ময়লাযুক্ত। বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের কর্মকর্তারাও এমন অবস্থা দেখে শিউরে ওঠেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাহের দফাদার (৩০), সোহেল বেপারী (২৬), মো. আবদুছ ছালাম (২৮). মো. ইয়াসিনকে (২২) আটক করাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। এছাড়াও আরো ৩ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধেও মামলা করা হলেও তাদের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। র্যাব বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। এরপরেও জব্দকৃত পণ্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবেক বলেও জানান নির্বাহী এ ম্যাজিস্ট্রেট।