×

খেলা

নাপোলিতে পুনর্জন্ম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২১, ০১:১৪ পিএম

নাপোলিতে পুনর্জন্ম

ফাইল ছবি।

১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে যেভাবে ম্যারাডোনাকে নিয়ে আসা হয়েছিল, মেসিকে যেন ঠিক সেভাবেই নিয়ে আসে নাপোলি। বার্সেলোনা থেকে ১৯৮৪ সালে দিয়াগো ম্যারাডোনা নাপোলিতে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে যেন পুনর্জন্ম লাভ করেছিলেন। বার্সেলোনায় নিজের মানসিক শান্তিটা হারিয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি নাপোলি ফিরে স্বস্তি।

মানসিকভাবে চাঙ্গা ম্যারাডোনা যে কী, সেটি আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে শেষভাগ পর্যন্ত অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেছিল ফুটবলপ্রেমীরা। নিজেদের ইতিহাসে তেমন কিছু না জিততে পারা নাপোলিকেই ম্যারাডোনা প্রথমবারের মতো জিতিয়েছিলেন সিরি ‘আ’, কোপা ইতালিয়া আর উয়েফা কাপের শিরোপা। শুধু তা-ই নয়, অনেকেই বলেন, নাপোলির হয়ে ম্যারাডোনা নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মেলে ধরতে পেরেছিলেন, সে পথ ধরেই ১৯৮৬ সালে তিনি তার দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পেরেছিলেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপেও শিরোপা জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে।

জীবনে উৎসবের দিন নির্ধারণ সম্ভব। কিন্তু অনিবার্য আঘাতের নয়। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সেই আঘাতই এসেছে আর্জেন্টিনার তিগ্রে থেকে। নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ফুটবল ঈশ্বরখ্যাত দিয়াগো ম্যারাডোনা। তিনি ছিলেন ফুটবল আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। আবার ব্যক্তি মানুষ হিসেবে অনন্য এক বর্ণাঢ্য চরিত্র। অসাধারণ হয়েও তিনি হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ, অতি প্রিয়জন। ম্যারাডোনা মানুষের কাছে অতি প্রিয়জন হয়ে ওঠেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। অমরত্বের পথে তার পদচারণা শুরু সেই আসরেই। অসাধারণ পারফরমেন্সে শিরোপা এনে দেন আর্জেন্টিনাকে। ক্লাব ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা লম্বা সময় ছিলেন নাপোলি আর বার্সেলোনায়। এ দুই ক্লাব ছাড়াও বোকা জুনিয়র্স, ওল্ড বয়েজ ও সেভিয়ার হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি। তবে প্রাপ্তির মালা খুব একটা পরা হয়নি এই অঙ্গনে এসে। নাপোলির হয়ে জিতেছেন দুবার লিগ শিরোপা, একবার করে ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ আর উয়েফা কাপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App