যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ চালাচ্ছে বিবাহিত ও চাকুরিজীবি ছাত্র নেতারা। ৬ বছর আগে অনুমোদিত হওয়া কমিটি আজ পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ নাহলেও সংগঠনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয় এমন নেতাদের নিয়েই চলছে সংগঠনটি। এরই মধ্যে সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে অনেকেই হয়েছেন প্রবাসী। ডাকযোগে কেন্দ্র ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক বরাবর এমনটাই লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিক হায়দার লাভলু। শফিক হায়দার লাভলু নিজে বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন। শফিক হায়দার লাভলু স্বাক্ষরিক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ আছে যে, উপজেলা ছাত্রলীগের বেশিরভাগ নেতাই বিবাহিত। তাদের মধ্যে সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন দু’বার (২০১২ এবং ২০১৬) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তিনবার বিয়ে করেছেন। তার একটি কন্যা সন্তানও আছে। সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামান রাজু কিছুদিন আগে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ হাসান বিদ্যুৎও বিবাহিত। এসকল নেতাদের মধ্যে সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামন রাজু এখন যশোর জেলা পরিষদের কম্পিউটার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ কুয়েত প্রবাসী। সদস্য জিহাদ হোসেনকে কমিটি অনুমোদনের পর থেকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ আছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ২০১৫ সালে চৌগাছা পৌর নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম হুসাইন বলেন, আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি যেমন শার্শা ১০, কেশবপুর ৮, অভয়নগর ১০, মনিরামপুর ১০, বাঘারপাড়া সাড়ে ৫,ঝিকরগাছা ৫, যশোর সদর ৫ এবং যশোর পৌর ছাত্রলীগের বয়স ৫ বছর হয়েছে। যেহেতু আমাদেও কমিটির মেয়দ শেষ তাই আমরা আমাদের স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা.নাসির উদ্দিনের সাথে কথা বলেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দেও সাথে কথা বলে সুন্দও একটি সন্মেলনের মাধ্যমে আমরা নতুনদেরকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবো। সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামান রাজু বলেন,যখন ছাত্রলীগের কমিটি হয় তখন আমরা কেই বিবাহিত ছিলাম না। এছাড়াও আমরা দু’দুবার পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে আমাদের সেই কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। তবে অচিরেই আমরা আমাদের স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সন্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক শফিক হায়দার লাভলু।