×

সারাদেশ

রৌমারীতে কমিউনিটি ক্লিনিকের পৌনে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:২২ পিএম

রৌমারীতে কমিউনিটি ক্লিনিকের পৌনে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ
 

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে ১০ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সিবিএইচসি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ক্লিনিকগুলোর মধ্যে রয়েছে মিয়ারচর, ছোট ধনতোলা, শৌলমারী, নতুন শৌলমারী, চেংটাপাড়া, রতনপুর, ইজলামারী, ফুলবাড়ী, কান্দাপাড়া ও খেওয়ারচর। এই কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুতের সংযোগের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডা. মোমেনুল ইসলাম গত ১৬ জুন ২০১৯ তারিখে ইউএইচএ হিসাবে রৌমারী হাসপাতালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর ৬ জানুয়ারিরৌমারী হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে বদলি হয়ে সিবিএইচসিতে যোগদান করেন। এই বিষয়টি জানা জানি হলে ডা. মোমেনুল ইসলাম নিজেকে সামলাতে গিয়ে তড়িঘড়ি করে রৌমারীর স্থানীয় ছেলে রিপনকে দিয়ে মিটার ছাড়াই ওয়ারিং কাজ শুরু করেছেন। গত জুনে সংযোগ না দিয়ে বিল উত্তোলন করে সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। গত ৬ জানুয়ারি ডাক্তার মোমেনুল ইসলাম অন্য দপ্তরে বদলি নিয়ে যান।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে ডা. মোমেনুল ইসলামের এসব অপকর্মের সহায়তাকারী হিসাবে মহিউল আলম নামের একজন স্বাস্থ্য সহকারী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। স্বাস্থ্য সহকারীর কাজ মাঠ পর্যায় টিকা প্রদান করার কথা থাকলেও মহিউল আলম টিকা প্রদান না করে অফিসে ঘোড়াফেরা করে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোণন করেন। নিয়ম বর্হিভূতভাবে সরকারি বাসভবনে বসবাস করে অথচ বাসাভাড়া প্রদান করেন না। ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। মহিউল আলম মাঠ পর্যায় কাজ না করার ফলে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত সিএইচসিপি নাজমা আক্তার জানান, রোগীর কাছ থেকে ৫ টাকা করে নেয়া হয় সেই জমাকৃত টাকা দিয়ে ক্লিনিকে শুধু মিটার স্থাপন করা হয়েছে। ওয়ারিং এর কাজ এখনও করা হয়নি। বরাদ্দের কোন অর্থ আমাকে দেওয়া হয়নি এবং এ বিষয় আমি জানিও না।

রৌমারী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স’র এমটিইপিআই নুরুজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম এবং বিলে সই করেছি কিন্তু বরাদ্দের টাকা ডা. মোমেনুল ইসলাম তুলে কি করেছেন আমি বলতে পারি না।

রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ইউএইচএ (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জানি না।

ওই সময় রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ডা. মোমেনুল ইসলাম এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের বরাদ্দের বিষটি আমি জানি না। তবে খোঁজ খরব নেয়া হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App