×

সারাদেশ

প্রবাসীর বাড়িতে মৌমাছির মেলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৩০ পিএম

প্রবাসীর বাড়িতে মৌমাছির মেলা

ছবি: প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রবাসীর বসতবাড়িতে বসেছে প্রায় দুই ডজন মৌচাক। এসব চাক থেকে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই মণ খাঁটি মধু আহরণ করা হয়। উপজেলার জামশা ইউনিয়নের বাস্তা-মাটিকাটা গ্রামের প্রবাসী নূরুল হকের দালানের চারদিকে বসেছে মৌমাছির মেলা। গেল ৫ বছর যাবত শীত মৌসুমে মৌমাছিরা এসে ওই দালানে মৌচাক তৈরি করে। প্রায় পুরো বছর ধরেই ওই বাড়িতে কম-বেশি মৌমাছি থাকে।

জানা গেছে, সারাদিন মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত থাকে ওই এলাকা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চারদিকে মৌ-মৌ গন্ধ ছড়িয়ে উড়ছে মৌমাছির দল। বিল্ডিংয়ের চারপাশে প্রায় দুই ডজন চাক গড়ে তুলেছে মৌমাছিরা। বিল্ডিংয়ের পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের পুরোটাই যেন দখলে নিয়ে বাসা বেঁধেছে মৌমাছিরা। ওই বাড়ির পশ্চিম পাশ ঘেষে রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনও গাড়ি থামিয়ে মৌচাকগুলো দেখে যাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই মৌমাছির চাক দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। চারদিক ছেঁয়ে গেছে মৌচাকে।

বাড়ির মালিক প্রবাসী নূরুল হকের স্ত্রী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমাদের বাড়ির বিল্ডিংয়ে ২৫-৩০ টি মৌচাক বসে। এসব মৌমাছি আমাদের কোনো ক্ষতি করে না। সারা বছরই দুই তিনটি মৌচাক থাকে। কিন্তু শীত এলে ঝাঁকে-ঝাঁকে মৌমাছি এসে তার বাড়িতে মৌচাক তৈরি করে। মাস দুয়েক পর আবার চলে যায়। গেল বছর শীত মৌসুমে ২৩টি মৌচাক ছিল। এবার ২১টি মৌচাক বসেছে।

তিনি বলেন, দুই মাসে ৩ বার চাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। প্রতিবার ২০-২২ কেজি মধু পাওয়া যায়। বাড়ি থেকে সঙ্গে সঙ্গে ১ হাজার টাকা কেজি দরে মধু বিক্রি করে দেই।

প্রতিবেশী স্থানীয় ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মো. তাহের আলীর পুত্র আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার জানা মতে, ৪/৫ বছর যাবত শীতকালে নূরুল হকের বাড়িতে মৌচাক বসে। খবর শুনে এলাকার বাইরে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে আসে। মৌচাক কাটার দিন খাটি মধু নেয়ার জন্য মানুষ লাইন ধরে অপেক্ষা করে।

স্থানীয় বাস্তা চরের মৌয়াল আমোদ আলী বলেন, চার পাঁচ বছর ধরেই ওই বাড়ির বিল্ডিংয়ে মৌমাছির চাকগুলো কেটে আমি মধু নামাই। অন্যান্য বছর ৩০-৩২টি চাক বসলেও এবার বসেছে ২১টি। তাই অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মধু কম। আগের বার প্রতি কাটায় ২৮-৩০ কেজি মধু তুললেও এবার পাওয়া যাচ্ছে ২০-২২ কেজি। বাড়ির মালিককে অর্ধেক দিয়ে বাকিটুকু আমি নিয়ে যাই।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান সপন বলেন, সম্ভবত ওই বাড়িতে রানী মৌমাছির জন্ম বা উৎপত্তি হয়েছিল, তাই প্রতি বছর এসে বাসা বাঁধে। ওই এলাকায় সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় ফুলের পরিমাণও বেশি। মধুর একমাত্র উৎস ফুল। তাই মৌমাছিরা এখানেই আসে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App