পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ গৈয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হান্নান খান ৮ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক এস এম শামসুউদ্দিনকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার সময় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কলাপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি সুরাইয়া নাসরিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন,মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডেলর সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা,সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো.রফিকুল ইসলাম, কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলজর সহকারী অধ্যাপক মা.মঞ্জুরুল ইসলাম, একই কলেজের ইসলামি ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মো.মাসুম বিল্লাহ, প্রভাষক ইউসুফ আলী, খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, কলাপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আনোয়ার হোসেন সহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। বক্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার মূল নায়ক স্কুল কমিটির সভাপতি আবদুল হান্নান খানকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, কলাপাড়ার দক্ষিল গৈয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম শামসুদ্দিনকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সভাপতি আবদুল হান্নান খান। ওই সময় তার কাজ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় মোবাইল সেট। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ম্যানজিং কমিটির সভাপতির ছোট ভাই আবদুল হামিদ খান স্কুলের একটি কক্ষ অবৈধ ভাবে দখল করে রাখেন। ওই কক্ষে সভাপতি স্কুলের বৈদ্যুতিক লাইন দেয়ার কথা বলেন প্রধান শিক্ষক কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতীত দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।

এ নিয়ে দু’জনের বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে সভাপতি চেয়ার দিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক জানাজানি হল স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতাল নিয়ে আসেন।

কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) মো.আশাদুর রহমান জানান,আসামিকে গ্রেপ্তার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।