×

জাতীয়

নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:৩৮ পিএম

নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি

ফাইল ছবি

নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি

ফাইল ছবি

নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি

জাহাজ মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

পণ্যবাহী জাহাজ থেকে সরকারি সংস্থা ও বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌযান মালিকরা। তারা জানান, চাঁদা না দিলে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া থেকে শুরু করে শ্রমিকদের মারধর পর্যন্ত করা হয়। নৌযান ব্যবসা সমৃদ্ধি ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজ মালিকরা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। তিন মাসের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। বাংলাদেশ কার্গো ভেসেলওনার্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম, কোস্টাল শিপ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, জাহাজ মালিক মো. খুরশীদ আলম, রাকিবুল আলম দিপু, ইঞ্জিনিয়ার বোরহান, লক্ষণ চন্দ্র ধর, মাসুদ করিম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম বলেন, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নৌ-পথের বিভিন্ন জায়গায় নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নামে চাঁদাবাজি হয়। আবার অনেক নেতা বা বিভিন্ন কমিটির নামেও চাঁদা তোলা হয়। এ টাকা মালিকদের বহন করতে হয়। তাই ব্যবসায় টিকে থাকা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এতে পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের বহিঃনোঙ্গরে থাকা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসের কাজ হাতে গোনা কয়েক এজেন্টের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) সিরিয়াল ভাঙ্গার কারণে অনেক জাহাজ মালিক চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অনিয়মের কারণে কোনো জাহাজ ঘনঘন ট্রিপ পাচ্ছে। আবার কেউ মাসের পর মাস অলস বসে থাকছে।

ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির বলেন, চট্টগ্রামে যেসব জাহাজ পণ্য আনতে যায় সেগুলো বে ক্রসিংয়ের সময় কাগজপত্র পরীক্ষার নামে সরকারি সংস্থার লোকজন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। নইলে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করে। বালুবাহি বাল্কহেডে পণ্য পরিবহনের নিয়ম না থাকলেও অর্থের বিনিময়ে তাদের ছাড় দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দরে অবৈধ বাল্কহেড ও ডব্লিউটিসির নিয়মের বাইরে সিরিয়াল ছাড়া জাহাজ চলাচল বন্ধ করা, জাহাজে ২ জন মাস্টার ও ড্রাইভার রাখার প্রথা বাতিল, ৫০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যওে জাহাজ সচল থাকা পর্যন্ত সমুদ্র পথে চলার অনুমতি (ব্রে ক্রসিং) দেয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নগরবাড়ী ও খুলনার নোয়াপাড়া রুটে নদী ড্রেজিং ও পথে পথে চাঁদাবাজি বন্ধ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App