×

সারাদেশ

চার অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল ভ্রাম্যমান আদালত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম

চার অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল ভ্রাম্যমান আদালত
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে জিকঝাক চিমনি ব্যবহার না করে বয়লার চিমনি দিয়ে ইটভাটার নির্মাণ ও বৈধ কাগজ না থাকায় ৪টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিলেন ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা ও রত্নপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বদেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল হোসেন, র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ দল। অভিযান সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামে নবনির্মিত মো. আজিজের মালিকানাধীন ইটভাটাটি সম্পূর্ণরূপে গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও মধ্য ইলশা গ্রামের অন্য ৩টি ইটভাটাকে বয়লার চিমনি ফুঁটো করে কাঁচা ইটও ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ইটভাটা গুলো হলো- উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মরর্তুজালী চৌধুরীর মালিকানাধীন চৌধুরী ব্রিকস-১, জামাল উদ্দীনের চৌধুরী ব্রিকস-২, জয়নাল আবেদীন ঝনটুর মালিকানাধীন এম.বি.এম ও সদ্য নবনির্মিত আজিজ আহমদের মালিকানাধীন ১টি ইটভাটা সম্পূর্ণরূপে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানকারী দলের চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল হোসেন জানান, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ, জিকঝাক চিমনির পরিবর্তে বয়লারবধ চিমনি ব্যবহার করা করে বনের কাঠ পুড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আফজারুল হোসেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশের সমন্বয়ে টিম ইটভাটাটি নতুন তৈরিকালীন সময়ে গুড়িয়ে দেয়। পরিবেশের অনুমতি না নেওয়া এবং জনবসতিতে ইটভাটা করায় ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ইটভাটার চিমনির কাজে ব্যবহৃত ইট ও অন্যান্য মালামালগুলো ওই সময়ে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩শত টাকায় নিলামে বিক্রি করেছিলেন। তবে মাস না পেরুতেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ইটভাটাটি পুনরায় নির্মাণ করেছিলেন আজিজ আহমদ গংরা। তাছাড়া সদ্য নির্মিত আজিজ আহমদের মালিকানাধীন সরকারি ও বিরোধপূর্ণ জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় এলাকার যুব সমাজের প্রতিবাদে মুখে পড়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স, পরিবেশের ছাড়পত্র, স্বাস্থ্য ও কৃষি অফিসের ছাড়পত্র বিহীন সরকারের নির্দেশিত পরিবেশ সম্মত জিকঝাক ইটভাটার পরিবর্তে পাহাড়ি কাঠ দিয়ে বয়লারের নির্মিত ইটভাটাগুলোতে ইট তৈরির কাজ চলছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে অনেকবার নোটিশ দেওয়ার পরও ইটভাটার মালিকপক্ষ তা অমান্য করে পুনরায় ইটভাটা চালু করে। বাঁশখালীতে দীর্ঘদিন ধরে লঠমনি, চাম্বল, শেখেরখীল, বাহারছড়ায় ১০টি ইটভাটায় বনের কাঠ পোড়ানো হলেও অভিযান পরিচালিত হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App