×

মুক্তচিন্তা

সর্দার শরণ সিংয়ের প্রতিক্রিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২২ পিএম

শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের অবিসংবাদিত নেতা, তাদের অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয়। ১৯৭০-এর ডিসেম্বরে নির্বাচনে এমন অভ‚তপূর্ব বিজয় সম্প্রতি পৃথিবীর আর কোথায় ঘটেনি। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তান সরকারের অভিযানে আমাদের জন্য যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও ব্যক্তির ওপর চ‚ড়ান্ত কিছু ঘটলে এই সংকটের তীব্রতা দশগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমাদের জনগণ, গণমাধ্যম, পার্লামেন্ট এবং সরকার মনে করে।
৯ আগস্ট ১৯৭১ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শরণ সিং কেবল শিরোনামে উদ্ধৃত বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় লোকসভায় একটি বিবৃতি প্রদান করেন। তার সেই বিবৃতি বাংলায় ভাষান্তরিত করা হলো : সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিবৃতি যে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে কোর্ট মার্শাল করা হবে’ এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের কথিত ‘অধিবেশন পর্যন্ত তিনি বেঁচে থাকবেন কিনা’ এই সন্দিগ্ধতা ভারত সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নিজেই কিছুকাল আগে তার এক বিবৃতিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী’ বলেছেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ১৬৯টি জাতীয় পরিষদ আসনের মধ্যে ১৬৭টিতেই বিজয়ী হয়েছে এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, শেখ মুজিবুর রহমান কেবল পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা নন, পুরো পাকিস্তানের তিনি নেতা। ২৫ মার্চের পর পূর্ব পাকিস্তানের কী হয়েছে সে সম্পর্কে গোটা পৃথিবীই অবহিত। জনগণের দেয়া রায় অস্বীকার করে জনগণের ওপর বাংলাদেশের মানুষের ওপর সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে নিজেই দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন। জনগণের রায়কে সম্মান জানানো শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে মেনে না নিয়ে পাকিস্তান সরকার একটি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়েছে যার নজির একালে কোথাও দেখা যায়নি। শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের প্রহসন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন, যা সমগ্র পৃথিবীর কাছে নিন্দিত হওয়ার মতো। শেখ মুজিবুর রহমান এবং গৃহে বা কারাগারে অন্তরীণ তার পরিবারের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিয়ে আমরা বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা বিভিন্ন বিদেশি সরকারকে জানিয়েছি এবং পাকিস্তান সরকারের ওপর তাদের প্রভাব প্রয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছি। যদি শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা তার পরিবারের সদস্য বা সহকর্মী জীবনের ওপর কোনো বিপদ নেমে আসে বাংলাদেশের পরিস্থিতির অপরিমেয় অবনতি ঘটবে, যা পরিণতির জন্য কেবলমাত্র পাকিস্তানের বর্তমান শাসকরাই এককভাবে দায়ী হবেন। আমাদের লোকসভার ৫০০ সদস্যের উদ্বেগ আমরা তাদের জানিয়েছে। আমরা মানুষের বিবেকের কাছে আপিল জানাই যাতে তারা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে স্বর উঁচিয়ে কথা বলেন। আমরা পাকিস্তান সরকারের কার্যক্রমে নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং যে ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে তাদের সতর্ক বার্তা জানিয়েছি। ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অপরাধে শেখ মুজিবুর রহমানের কোর্ট মার্শাল শুরু হয়েছে’ ১১ আগস্ট ১৯৭১ ভারতীয় লোকসভায় ইয়াহিয়ার হুমকি নিয়ে পুনরায় আলোচনায় পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমন্ত্রী সর্দার শরণ সিংয়ের বক্তব্যটিই আবার পেশ করেন। ভারতীয় লোকসভার বাজেট অধিবেশন চলছিল। তারিখ ২০ জুলাই ১৯৭১। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সর্দার শরণ সিং দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন। তার বক্তৃতার শেষ অংশটুকুর একটি উপ-শিরোনাম ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় তা ভাষান্তরিত করে উপস্থাপন করা হলো: শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, আমি সে সম্পর্কে বলতে চাই। খবরে বলা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারের একটি প্রস্তাব রয়েছে। কয়েকটি খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যদি তাকে বিচারে সোপর্দ করা হয়, তাহলে এটা হবে একটি সামরিক আদালত, সেখানে তিনি একজন আইনজীবী রাখতে পারবেন, তবে বিদেশি কোনো আইনজীবী নয়। সবকিছুতে এটাই স্পষ্ট, যে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে আমরা পরিচিত তাতে যে কোনো প্রমাণের প্রয়োজন হয় এখানে তার দরকার হবে না। পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় এসবের প্রয়োজন নেই। এ ধরনের যে কোনো বিচারই আসলে প্রহসন। এটি আইনানুগ কোনো কাজ নয়, গোপনে হোক আর প্রকাশ্যেই হোক সময় নিয়ে পদ্ধতিগতভাবে এটা করা হবে না। এটি অবশ্যই একটি রাজনৈতিক বিষয়, সামরিক রাজত্বে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর যে সহিংসতা চালানো হয়েছে এটা তারই ধারাবাহিক একটি অংশ। তাদের সহিংসতার ধারাটি উল্টে ফেলতে হবে, সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং সমাধান চাইলে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। আমরা যখন তাদের সামরিক পদ্ধতি রহিত করার কথা বলেছি আমরা বাংলাদেশের জনগণ ও শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গ্রহণযোগ্য। এখন শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগই নেয়া হোক না কেন তা হবে ২৮ জুন ১৯৭১ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যা বলেছেন এটা তারই ফলো-আপ অ্যাকশন। আর এটাই সম্পূর্ণ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পথ করে দেবে। এ পথে পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষের যে কোনো অভিযানই হবে উন্মত্তের অভিযান। তাতে মুক্তিযোদ্ধারা আরো মরিয়া হয়ে উঠবে এবং তাদের লক্ষ তাদের জনগণের জন্য স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে আরো দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে উঠবে। তাই বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের যে কোনো কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিতে চাই। এই সহিংসতা যে কোনোভাবেই হোক চলতে থাকলে এবং নিরস্ত্র জনতার ওপর তাদের উন্মত্ততার নীতি অব্যাহত থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা আরো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ইয়াহিয়ার শাসনের ভিত নাড়িয়ে দেবে। ইয়াহিয়া এখন অজুহাত খুঁজছেন কোনো এলাকা সেনাবাহিনীর দখল থেকে মুক্ত হলে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করে বসবেন। এখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানের যত চাপ তার ওপর পড়ছে সেখান থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি সরাতে তিনি বিচারের আয়োজন করেছেন। বিভিন্ন সময় আমরা আমাদের অভিব্যক্তি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের পার্লামেন্টে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা (বাংলাদেশের জনগণের প্রতি) সহানুভ‚তি ও সমর্থন ব্যক্ত করেছি এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য যা কিছু করা সম্ভব আমরা তা-ই করে যাচ্ছি। আমি আপনাদের (লোকসভার সদস্যবৃন্দ) আশ্বস্ত করতে চাই, পররাষ্ট্র দপ্তর এবং বিদেশে অবস্থিত আমাদের মিশনগুলো আমাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে যেসব বিষয় জড়িত সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত। আমাদের ভুললে চলবে না, এই বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের অস্তিত্ব ও আমাদের টিকে থাকার জন্য। কাজেই আমাদের বৃহৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সুবিবেচনা প্রয়োগ করতে হবে, অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগোতে হবে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে, আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের সমর্থন দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন ও সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হচ্ছে শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না। কারণ কেবল বিবৃতি দিয়ে তাদের ফেরানো যাবে না, তাদের মনে বিশ্বাস থাকতে হবে যে, তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে, চুলায় আগুন দিতে পারবে। ইয়াহিয়া খানের এই বিবৃতির প্রভাব কী? তার বিবৃতির পর আরো পঁয়ত্রিশ লাখ শরণার্থী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসেছেÑ এই হচ্ছে ইয়াহিয়ার বিবৃতির ফল। বিবৃতি কিংবা জাতিসংঘের আশ্বাস শুনিয়ে তাদের মনে আস্থা সৃষ্টি করা যাবে না। কেমন অদ্ভুত ব্যাপার তারা মনে করে কেবল ক্যাম্প বানালেই শরণার্থী সেখানে ফিরে যেতে প্রলুব্ধ হবেÑ তা কখনো ঘটার নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না মূল সংকটের সমাধান হচ্ছে তারা ফিরে যাবে না। মূল সংকট হচ্ছে লড়াই একদিকে জনগণ ও গণতান্ত্রিক শক্তি অন্যদিকে সামরিক শাসক ও অন্যসব (জনবিরোধী) বিষয়। এ কারণেই আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এই লক্ষ্য আমাদের বাস্তবায়ন করতেই হবে। সর্দার শরণ সিংয়ের কথার সারাংশ হচ্ছে মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে এবং একমাত্র তিনিই সংকটের সমাধান করতে পারবেন; তিনি জনগণের নির্বাচিত নেতা, তার ওপরই জনগণের আস্থা। কোর্ট মার্শাল নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে বার্তা সর্দার শরণ সিং ১০ আগস্ট ১৯৭১ জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টকে যে বার্তা প্রেরণ করেন তা ভাষান্তরিত হলো : আগামীকাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে রাওয়ালপিন্ডি থেকে এই ঘোষণা আমরা বিপন্ন ও বিস্মিত বোধ করছি। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বিবৃতির প্রাক্কালে ‘শেখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত হয়েছেন’ এই অজুহাতে বিচার করতে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের অবিসংবাদিত নেতা, তাদের অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয়। ১৯৭০-এর ডিসেম্বরে নির্বাচনে এমন অভ‚তপূর্ব বিজয় সম্প্রতি পৃথিবীর আর কোথায় ঘটেনি। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তান সরকারের অভিযানে আমাদের জন্য যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও ব্যক্তির ওপর চ‚ড়ান্ত কিছু ঘটলে এই সংকটের তীব্রতা দশগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমাদের জনগণ, গণমাধ্যম, পার্লামেন্ট এবং সরকার মনে করে। আপনার মহানুভবতার কাছে আমাদের আবেদন, অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাকিস্তান সরকারকে বলুন তারা যেন এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ না করেন, যা তাদের ও আমাদের সংকটকে আরো তীব্র করে তুলবে। যদি তারা মুজিবের কিছু করে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর ও দুর্বিষহ। (সর্দার শরণ সিং ১৯৭১-এ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করতে বাস্তব সহায়তা প্রদান করেছেন। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় পূর্ত, খনিজ সম্পদ, রেলওয়ে, কৃষি, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯০৭ পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলায় জাট শিখ পরিবারে। তিনি লাহোর কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে লায়লপুর খালসা কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে ফৌজদারি আদালতে ওকালতি শুরু করেন। তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৪৬-এর নির্বাচনে পাঞ্জাব লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন এবং দেশ ভাগের সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে যোগ দেন। তিনি দুবার করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম সাফল্য প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ১৯৭১-এ ভারতকে বিজয়ী হিসেবে দেখা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রত্যক্ষ করা, যার সহায়ক কারিগরদের তিনিও একজন। ৩০ অক্টোবর ১৯৯৪, ৮৭ বছর বয়সে তিনি নয়াদিল্লিতে পরলোকগমন করেন।) ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App