×

সারাদেশ

কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই ভবনে ফাটল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৬ পিএম

কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই ভবনে ফাটল

ছবি: প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত একটি ভবন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই ফাটল ধরার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার চর গাজীতে একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ কাজে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। কাজটির কার্যাদেশ পায় মেসার্স ফাতেমা ট্রেডার্স নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজটি তদারকি করেন রামগতি এলজিইডি'র উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম।

ভবনটি নির্মাণকালে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়রা বাধা দেয়। পরবর্তী ভবনটির নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে স্থানীয়রা একাধিক অভিযোগ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ঠিকাদার দিচ্ছে আর পাহারাদার গিলছে এ যেন শর্ষের মধ্যেই ভূত! এলাকাবাসীর অভিযোগ কর্মকর্তার দুর্বল তদারকি আর উৎকোচ গ্রহণের কারণে নবনির্মিত ভবনটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই ফাটল ধরেছে। জনতার প্রশ্ন রামগতি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) করছেটা কী?

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের নিচ তলার ফ্লোরে ব্যাপক ফাটল। পাঁ রাখতেই ফ্লোর যেন নড়েচড়ে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে আলোচনা করা হলে তিনি বলেন, প্রকৌশলী আব্দুর রহিমের উপস্থিতিতেই কাজ সম্পূর্ণ করেছি। ফাটল ধরার তো কথা নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লোকজন জানান, রামগতি উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম এ উপজেলায় প্রায় ১০ বছর যাবত কর্মরত আছেন। রহিম সাহেবকে টাকা দিলে কাজ না করলেও চলে। এলজিইডির এমন কোনো প্রকল্প নেই যে প্রকল্প থেকে সে কমিশন নেয় নি। আর এ কাজের সঙ্গে খোদ এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার জড়িত রয়েছে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে যে অনিয়ম হয়েছে, তা পুনঃ মেরামত করে দেয়া হবে। তবে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

রামগতি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো মহিউদ্দিন মাসুমের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম পাঠোয়ারী বলেন, আমাদের জনবলের সংখ্যা খুব কম। যার কারণে সবগুলো কাজ তদারকি করতে সমস্যা হচ্ছে। রামগতির বিষয়গুলো সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, শতভাগ-টেকসই কাজ না হলে বিল দেয়া হবে না।এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App