×

শিক্ষা

মাথা ফাটিয়ে খুনের হুমকিদাতা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:৪১ পিএম

মাথা ফাটিয়ে খুনের হুমকিদাতা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে ‘মাথা ফাটিয়ে খুন’- করার হুমকি দেয়ার ঘটনায় সেই সহকারী অধ্যাপক এম এম নাসিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিষয়টি তদন্তপূর্বক রিপোর্ট পেশ করার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এবং এ সংক্রান্ত  প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে।’ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া সদস্য-সচিব হিসেবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলকে রাখা হয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে ‘মাথা ফাটিয়ে খুন’- করার হুমকি দেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এম এম নাসিমুজ্জামান। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক ওইদিন বিকেলে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। শনিবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে তিনি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে আবাসিক এলাকা মেঘনা ভবনের পেছনে আলতাফ হোসেনেকে লাঠি হাতে মারতে তেড়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক নাসিমুজ্জামান। এ সময় আলতাফকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগও ওঠে। আশেপাশের কোয়ার্টারে অবস্থানরত অন্য শিক্ষকরা নাসিমুজ্জামানকে থামান। ঘটনার পরই তিনি ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়ে অভিযুক্তকে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান। এছাড়া মেঘনা ভবনের আবাসিক অন্য শিক্ষকরা তার আবাসিকত্ব স্থায়ীভাবে বাতিল এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। পরে মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। এসময় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন এবং অভিযুক্তের আবাসিকত্ব স্থায়ীভাবে বাতিলসহ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। প্রশাসন আবাসিক অন্য শিক্ষক ও ছাত্রলীগের দাবির বিষয়টি আমলে নিয়ে অবশেষে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App