×

সারাদেশ

বাঘায় সড়ক ছাড়াই দুই সেতু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:১৮ পিএম

বাঘায় সড়ক ছাড়াই দুই সেতু
বাঘায় সড়ক ছাড়াই দুই সেতু
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় সড়ক সংযোগ ছাড়াই ২টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও অজানা কারণে নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে কার্যত এলাকাবাসীর কোন কাজেই আসছেনা ওই দুই সেতু। জানাযায় গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে অবিভক্ত গড়গড়ি ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে পৃথক দুটি পদ্মা নদীর নালার উপর সেতু নির্মাণ করা হয়। বাঘা-লালপুর যাতায়াত সড়কের দক্ষিণে পদ্মার তীর ঘেষে সুলতানপুর ও কড়ালি নওশারা এলাকায় ৪০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২ ফুট প্রস্থ সেতু দুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৬৬ লক্ষ টাকা। বাঘা প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল লতিপ বলেন, সড়ক সংযোগ ছাড়াই সেতু দুটির মধ্যে একটি সুলতানপুর সাধু মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার দক্ষিণে পদ্মা নদীর খালের ওপর। আরেকটি এর ৫০০ গজ পূর্বে কড়ালি নওশারা এলাকার খাদেম ও জালেকের বাড়ির দক্ষিণে পদ্মা নদীর খালের উপর। ওই এলাকায় ৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। তাদের পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য খাল পাড়ি দিয়ে আসতে হয় পাশের সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুই দিকে হতে প্রতিদিন যাতায়াত করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ অর্ধ সহাস্রাধিক মানুষ। সুলতানপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক সোলাইমান হোসেন ও কড়ালি নওশারা এলাকার মুনসুর আলী মন্ডল বলেন, জনস্বার্থে সেতু নির্মাণ করা হলেও চলাচলের জন্য মাটি ফেলে রাস্তা ঠিক করা হয়নি। নির্মাণের পর থেকেই সেতু দু’টির এই দশা। তারপরেও প্রতিবছর বন্যায় সেতুর পাশের মাটি ধসে অনেক উচু হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের পক্ষ থেকে ঠিকও করা হয়না। যার কারণেই সেতুর পাশ দিয়েই চলাচল করতে হয়। গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে দুইজন ঠিকাদার সেতুর কাজ করেছে। তাদের সাথে কথা বলেছি, তারা মাটি ফেলে ঠিক করে দিতে চেয়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে সেই সেতুর কাজটি হয়েছে। কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এমন কাজ করে শুধু রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করেছে। এই সেতু জনগনের কোন কাজে আসছেনা। উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, তার সময়কালিন ওই সেতু দুটি নর্মিাণ হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App