×

পুরনো খবর

নতুন বইয়ের গন্ধে শিক্ষার্থীরা মেতে উঠুক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১১:০৪ পিএম

সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬ জন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৩ জন। সুতরাং করোনা মহামারির কারণে ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ ভাগ শিক্ষার্থী ড্রপ আউট হয়ে যেতে পারে। কেননা আমরা জানি, শিক্ষার্থীদের ড্রপ আউট হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো দারিদ্র্য। আর করোনাকালে সেই দারিদ্র্যই বেড়েছে বহুগুণে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশে চাকরি হারাবে দেড় কোটি মানুষ। আর যদি তাই হয়, তাহলে বাংলার ঘরে ঘরে দেখা দেবে দারিদ্র্য। যাতে করে বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠবে ধীরে ধীরে। তা ছাড়া সিডিপি বলেছে, করোনা-পূর্বে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার যে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল তা কেবল লকডাউন দেয়াতে ৭০ শতাংশ মানুষ কর্মহীন হওয়ায় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ সামনের দিনগুলোতে চরম দারিদ্র্যের আগাম বার্তার ইঙ্গিত বহন করছে এখনই। যার পরিণাম হতে পারে বাংলাদেশের বহুলাংশে শিক্ষার্থীর ড্রপ আউট প্রবণতা। আমরা জানি, ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের এই ড্রপ আউট নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে ১ জানুয়ারি ‘জাতীয় বই উৎসব’ করে আসছে। ২০২১ সালেও সেই উৎসব পালিত হয়েছে, তবে যেন ভিন্নরূপে, ভিন্ন মাত্রায়। চারদিকে নতুন বই পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল না কোনো আনন্দ-উল্লাস। চোখে-মুখে ছিল কেবল বিষণœতার ছাপ ও তেজহীন চলাচল। কেমন জানি, নতুন বইয়ের ঘ্রাণেও আজ মহামারির গন্ধ ভাসে। কিন্তু এই ঘ্রাণ পূর্ববর্তী বছরে শিক্ষার্থীদের কাছে সমাদৃত হতো নতুন বইয়ের স্বাদ, নতুন উচ্ছ¡াস, নতুন উদ্যম, নতুন প্রেরণা হিসেবে। কিন্তু এই ’২১-এর নতুন বই বিতরণ যেন অতিরিক্ত ক্ষুধার মুখে দুধ-আনারস। যা হোক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১টি বই, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৩৭৪টি। তা ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায়, মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার কপি বই মুদ্রণ করার কাজ চলমান রয়েছে। সর্বোপরি এটাই প্রত্যাশা করি, এই আঁধার কেটে আলো আসুক, নতুন বইয়ের গন্ধে শিক্ষার্থীরা মেতে উঠুক; পড়ালেখায়, জ্ঞান অর্জনে। জাতির মেরুদণ্ড অসুখ থেকে মুক্তি পাক। অর্থাৎ ২০২১ সালের নতুন বই নিয়ে আসুক লাল-সবুজের জয়, নিয়ে আসুক শিক্ষায় জীবন্ত সত্তা। শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App